আগামী ১৬ অগাস্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (উড়াল সড়ক) ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
Published : 26 Jul 2015, 05:10 PM
রোববার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একই দিনে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্পের জমিও হস্তান্তর করা হবে।
রোববার সকালে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হোটেলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ইতাল-থাই কোম্পানির চেয়ারম্যান প্রেমচাই কর্নসূতার সঙ্গে আলোচনায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
ব্যাংককে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার রাতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। পথে থাইল্যান্ডে ওই বৈঠক হয়।
ওবায়দুল কাদের জাপানে দেশটির সড়ক পরিবহনমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকসহ জাইকা এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) নির্মিত হতে যাচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার উড়াল সড়ক নির্মিত হবে।
সংযোগ সড়কসহ এর দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৪৬ কিলোমিটার, যাতে ব্যয় হবে প্রায় ১২ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
২০১৬ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি এ প্রকল্পের প্রথম চুক্তি হয়। একই বছর ৪ এপ্রিল ভিত্তিস্থাপন করা হয়।
তবে নকশা পরিবর্তন ও মূল্যস্ফীতির কারণে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইতাল-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করে সেতু বিভাগ।
গত বছর ৩০ অক্টোবর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।