হংকংয়ের নতুন আইন ‘কফিনে শেষ পেরেক’, বলছেন সমালোচকরা

আর্টিকেল ২৩ নামে পরিচিতি পাওয়া এ আইন সর্বসম্মতভাবে পাশ করেছে হংকংয়ের বেইজিংপন্থি পার্লামেন্ট।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 March 2024, 02:42 PM
Updated : 20 March 2024, 02:42 PM

পশ্চিমা নেতারা, জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো হংকংয়ের নতুন বিতর্কিত নিরাপত্তা আইনের সমালোচনায় যোগ দিয়েছে। এ আইন স্বাধীনতা আরও ক্ষুন্ন করবে বলেই ভাষ্য তাদের।

আর্টিকেল ২৩ নামে পরিচিতি পাওয়া এ আইন সর্বসম্মতভাবে পাশ করেছে হংকংয়ের বেইজিংপন্থি পার্লামেন্ট।

হংকংয়ের স্থিতিশীলতার জন্য আইনটিকে জরুরি মনে করছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিরোধীরা একে ‘কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়া’ হিসাবেই বর্ণনা করেছে।

চীন এই আইন পাশের জন্য বহুদিন থেকেই চাপ দিয়ে এসেছে এবং বলেছে, এ আইন নিয়ে সমালোচকদের কালিমা লেপনের চেষ্টা সফল হবে না।

বিবিসি জানায়, নতুন এ আইনে রুদ্ধদ্বার বিচারকে অনুমোদন দেওয়াসহ পুলিশকে কোনও অভিযোগ ছাড়াই একজন সন্দেভাজনকে ১৬ দিন পর্যন্ত আটক রাখার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে এবং অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে সাজা হিসাবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

ফলে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনের ফলে স্বাধীনতার ওপর দমনপীড়ন আরও বেড়ে যাবে এবং কঠিন সব সাজাও বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এক মানবাধিকার কর্মী ফ্রান্সেস হুই। তিনি এই আইনকে ‘বন্ধ কফিনে শেষ পেরেকে’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বজুড়ে ৮১ জন আইনপ্রণেতা এবং সরকারি কর্মকর্তা মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে এই আইন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

২০২০ সালে হংকংয়ে চীনের চাপিয়ে দেওয়া জাতীয় নিরাপত্তা আইন থাকার পর বাড়তি এই নতুন আইন পাস হয়েছে। আইনটির আওতায় সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতা, বিদ্রোহ এবং বিদেশি শক্তির সঙ্গে আঁতাতকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়েছে।

স্বাধীনতায় এ আইন এক বিপর্যয়কর ধাক্কা আখ্যা দিয়ে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই আইন সঠিক বিচার প্রক্রিয়া এবং ষুষ্ঠু বিচারের অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের আওতায় হংকংয়ের যেসব বাধ্যবাধকতা আছে এ আইন তারও লঙ্ঘন।”

যুক্তরাষ্ট্র আইনটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও একইরকম উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, আইনটি ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসাবে হংকংয়ের মর্যাদাহানি ঘটাতে পারে।