প্রেসিডেন্ট পুতিন আভদিভকার পতনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ জয় হিসেবে অভিহিত করে রাশিয়ার সেনাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
Published : 19 Feb 2024, 12:51 PM
ইউক্রেইন নিজ সেনাদের প্রত্যাহার করার পর দেশটির আভদিভকা শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়া। দুই পক্ষের যুদ্ধে গত নয় মাসের মধ্যে এটি রুশ বাহিনীর সবচেয়ে বড় অগ্রগতি।
রোববার মস্কো জানিয়েছে, যুদ্ধের সবচেয়ে তীব্র লড়াইগুলোর একটি শেষ হলেও শহরটির সোভিয়েত আমলের একটি কয়লা প্রকল্পে ইউক্রেইনের কিছু সেনা এখনও আটকা পড়ে আছে।
রয়টার্স লিখেছে, ২০২৩ এ বাখমুত শহর দখলের পর থেকে আভদিভকার পতনে সবচেয়ে বড় সাফল্য পেয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিবেশী ইউক্রেইনে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ শুরু করার নির্দেশ দেওয়ার দুই বছর পর প্রায় যুদ্ধ শুরুর বার্ষিকীতেই এ সাফল্য এল।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধক্ষেত্রের ১০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সম্মুখভাগের আভদিভকা অংশে তাদের বাহিনীগুলো প্রায় ৯ কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে। শহরটিতে প্রাণঘাতী যুদ্ধের পর রাশিয়ার সেনারা এগোতে শুরু করে।
ইউক্রেইন জানিয়েছে, কয়েক মাস ধরে তীব্র লড়াই চলার পর পুরোপুরি ঘেরাওয়ের মধ্যে পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে তাদের সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
পুতিন আভদিভকার পতনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ জয় হিসেবে অভিহিত করে রাশিয়ার সেনাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
কিন্তু রাশিয়া জানিয়েছে, শহরটির পতন হওয়া সত্ত্বেও এখনও কিছু ইউক্রেইনীয় সেনা আভদিভকার কয়লা কারখানায় রয়ে গেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউক্রেইনীয় কিছু ইউনিট শহর ছেড়ে গিয়ে আভদিভকা কয়লা ও রাসায়নিক কারখানায় প্রবেশ করেছে, এই ইউনিটগুলোকে আটকানোর ও শহরটি পুরোপুরি ‘জঙ্গি মুক্ত করতে’ পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা।
ইউক্রেইনের নিবিড় শিল্পায়িত অঞ্চল দনবাসের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়া রাশিয়ার লক্ষ্য। আর এই লক্ষ্য পূরণে আভদিভকার নিয়ন্ত্রণ পাওয়া তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
রাশিয়ার গণমাধ্যমের খবরে দেখানো ভিডিও ফুটেজে আভদিভকার কেন্দ্রস্থলে ও কয়লা কারখানায় ইউক্রেইনের পতাকা নামিয়ে রাশিয়ার পতাকা তুলতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে ইউক্রেইনের কর্তৃপক্ষ প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি।
রাশিয়া জানিয়েছে, আভদিভকা থেকে ইউক্রেইনের সেনাদের প্রত্যাহার তড়িঘড়ি করে করা ও বিশৃঙ্খল ছিল, এ কারণে তারা পেছনে কিছু সেনা ও অস্ত্র ফেলে গেছে।
ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হতাহতের ঘটনা ঘটলেও সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে।
যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার সামরিক লাইন ভেদ করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য গত বছর বড় ধরনের এক অভিযান শুরু করেছিল ইউক্রেইন, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। তারপর থেকে রাশিয়া ইউক্রেইনীয় বাহিনীকে গুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: