বেশ কয়েকজন পশ্চিমা কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, নেটোর পূর্বাঞ্চলের দেশগুলোতে রাশিয়ার সামরিক হামলার হুমকি আছে।
Published : 13 Feb 2024, 06:50 PM
পশ্চিমাদের সঙ্গে আগামী দশকের মধ্যে সামরিক সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। যা প্রতিহত করা হতে পারে পাল্টা একটি সশস্ত্র বাহিনী গঠনের মাধ্যমে। এস্তোনিয়ার বৈদেশিক গোয়েন্দা সেবা বিভাগ মঙ্গলবার একথা বলেছে।
বেশ কয়েকজন পশ্চিমা কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, নেটোর পূর্বাঞ্চলের দেশগুলোতে রাশিয়ার সামরিক হামলার হুমকি আছে। ফলে তারা ইউরোপকে অস্ত্রসজ্জিত হয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার ডাক দিচ্ছেন।
এস্তোনিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা প্রধান কাউপু রসিন বলছেন, নেটো সদস্য ফিনল্যান্ড ও বাল্টিক দেশ এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া ও লাটভিয়ার সঙ্গে সীমান্তে রাশিয়া নিজেদের সেনা উপস্থিতি দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করেছে। এর ভিত্তিতেই আগামী দশকের মধ্যে সামরিক সংঘাতের ধারণা করা হচ্ছে।
এস্তোনিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি প্রতিবেদনে প্রকাশ করে কাউপো রসিন সাংবাদিকদের বলেছেন, “রাশিয়া দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতে পথ বেছে নিয়েছে... ক্রেমলিন সম্ভবত আগামী এক দশক বা এ সময়ের মধ্যে নেটোর সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোর আশঙ্কা করছে।”
তবে তিনি বলেন, সহসাই রাশিয়ার সামরিক হামলার আশঙ্কা নেই। কারণ, রাশিয়াকে ইউক্রেইনে সেনা রাখতে হবে। তাছাড়া, ইউরোপীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো বাহিনী রাশিয়া গড়ে তোলার আগ পর্যন্ত তাদের সামরিক হামলার সম্ভাবনা নেই।
তারপরও প্রস্তুত থাকতে হবে জানিয়ে রসিন বলেন, “আমরা যদি প্রস্তুত না হই, তাহলে কোনও প্রস্তুতি ছাড়াই রাশিয়ার সামরিক হামলা চালানোর আশঙ্কা অনেক বেশি থাকবে।”
রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেওয়ার পরই এস্তোনিয়া এবং অন্যান্য বাল্টিক রাষ্ট্রগুলো তাদের সামরিক ব্যয় ২ শতাংশের বেশি বাড়িয়েছিল। আর নেটো মিত্রদেশগুলোও ওইসব দেশে নিজেদের উপস্থিতি বাড়িয়েছিল।
জার্মানি ২০২৭ সালের মধ্যে ওই অঞ্চলে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ৪ হাজার ৮০০ সেনা মোতায়েন রাখার পরিকল্পনা করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিই দেশটির প্রথম স্থায়ী সেনা মোতায়েনের পদক্ষেপ। রসিন বলেন, নেটো ও এর মিত্রদেশগুলো রাশিয়ার হুমকি মোকাবেলায় সঠিক পথেই এগুচ্ছে।