চলতি মাসে ১৫তম বারের মতো ইউক্রেইনের রাজধানী কিইভে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া, এবারের হামলায় ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে তারা।
সোমবার ভোরাতে এ হামলা চলার সময় ৪০টিরও বেশি ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নামানো হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেইনের রাজধানীর সামরিক প্রশাসনের।
নগরীটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ হামলায় কিইভে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এই নিয়ে টানা দুই রাত কিইভে বড় ধরনের হামলা চালালো রাশিয়া। ইউক্রেইনের একটি পাল্টা আক্রমণের সম্ভাবনা যতই নিকটবর্তী হচ্ছে মস্কো ততই আকাশপথে হামলা তীব্রতর করে তুলছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
“রাজধানীর জন্য আরেকটি কঠিন রাত,” টেলিগ্রামে বলেছেন কিইভের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো।
এর আগে রোববার ভোররাতে চলতি যুদ্ধের মধ্যে কিইভে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। তাতে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। এদিন কিইভের আকাশ থেকে ৩৬টি ‘কামাকাজি’ ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেইনের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর।
কিইভের সামরিক প্রশাসন জানিয়েছে, সোমবারের হামলায় রাশিয়া ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি পপকো টেলিগ্রামে বলেছেন, “এসব অবিরাম আক্রমণ চালিয়ে শত্রু বেসামরিক জনগণকে গভীর মনস্তাত্ত্বিক উত্তেজনায় রাখতে চায়।”
এই হামলার বিষয়ে মস্কোর দিক থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। হামলার মাত্রা সম্পর্কে যে সব প্রতিবেদন পাওয়া গেছে রয়টার্স স্বতন্ত্রভাবে তা যাচাই করতে পারেনি।
রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, সোমবার ভোররাতে কিইভ ও পুরো ইউক্রেইন যখন বিমান হামলার সতর্কতার মধ্যে ছিল তখন বেশ কয়েকটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন তারা।
ইউক্রেইনের দীর্ঘ প্রতিশ্রুত পাল্টা হামলার সম্ভাবনা বাড়তে থাকার মধ্যেই দেশটির সামরিক অবকাঠামো ও সরবরাহ লক্ষ্য করে হামলা তীব্রতর করে তুলছে মস্কো।
আরও পড়ুন: