কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তান সীমান্তে দুই দিন আগে শুরু হওয়া সীমান্ত সংঘর্ষে অন্তত তিন জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার সংঘর্ষ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার পর উভয়পক্ষ একে অপররের বিরুদ্ধে ট্যাংক ও মর্টারের মতো ভারী অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ এনেছে।
কিরগিজস্তানের বর্ডার গার্ড সার্ভিস জানিয়েছে, শুক্রবার ভোররাতে তাজিক বাহিনীগুলো ফের তাদের বেশ কয়েকটি সীমান্ত চৌকিতে গোলাগুলি বর্ষণ করেছে, পুরো সীমান্তজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষে তাজিক বাহিনীগুলো ট্যাংক, সাঁজোয়া যান ও মর্টার ব্যবহার করছে।
অপরদিকে তাজিকিস্তান অভিযোগ করে বলেছে, কিরগিজিস্তানের বাহিনীগুলো তাদের একটি সীমান্ত চৌকিতে ও সাতটি গ্রামে ‘ভারী অস্ত্র’ থেকে গোলাবষর্ণ করছে।
তাজিকিস্তানের ইসফারা শহরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কিরগিজিস্তানের গোলায় তাদের শহরে এক বেসামরিক নিহত ও তিন জন আহত হয়েছে।
আর রাতে তাজিক বাহিনীর গোলাবর্ষণে ১১ জন আহত হয়েছে বলে কিরগিজিস্তান জানিয়েছে।
কিরগিজিস্তান আরও জানিয়েছে, সীমান্তে গোলাগুলি নিয়ে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাজিকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা হয়েছে। কিন্তু দেশটির বর্ডার গার্ড সার্ভিস জানিয়েছে, অস্ত্রবিরতির বিষয়ে দুইবার সমঝোতা হলেও উভয়ই ব্যর্থ হয়েছে।
সংঘর্ষ থামানোর আরেকটি উদ্যোগে সীমান্ত সংলগ্ন কিরগিজ ও তাজিক প্রদেশগুলোর গভর্নররা সীমান্তের একটি ক্রসিং পয়েন্টে বৈঠকে বসবেন বলে কিরগিজ বর্ডার গার্ড জানিয়েছে।
কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট সাদির জাপারভ ও তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাখমোন, উভয়েই একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়ে এখন প্রতিবেশী উজবেকিস্তানে আছেন। বৃহস্পতিবার এক নৈশভোজের দলীয় ছবিতে সম্মেলনে উপস্থিত নেতাদের মধ্যে তাদেরও দেখা গেছে।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের এই দুই প্রজাতন্ত্রের দুর্বলভাবে চিহ্নিত সীমান্তে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, তবে দ্রুতই এসব সংঘাতের অবসান হয়। তবে গত বছর এ ধরনের সীমান্ত সংঘর্ষের জেরে দেশ দুটি প্রায় সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল।
উভয় দেশেই রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি আছে এবং উভয়ের সঙ্গেই মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্রতা আছে। শত্রুতা থামাতে উভয় মিত্রের প্রতিই আহ্বান জানিয়েছেন মস্কো।