রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেবে চীন

চীন ছাড়াও ভারত, বেলারুশ, মঙ্গোলিয়া, তাজিকিস্তান এবং আরো কয়েকটি দেশ রাশিয়ায় ওই সামরিক মহড়ায় অংশ নেবে।

রয়টার্স
Published : 17 August 2022, 07:21 PM
Updated : 17 August 2022, 07:21 PM

চীন একটি যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে রাশিয়ায় সেনা পাঠাচ্ছে বলে বুধবার জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়ার নেতৃত্বে ‘ভোস্তক’ নামের ওই সামরিক মহড়ায় চীন ছাড়াও ভারত, বেলারুশ, মঙ্গোলিয়া, তাজিকিস্তান এবং আরও কয়েকটি দেশের সেনারা অংশ নেবে।

এতে আরও বলা হয়, ‘‘যৌথ ওই সামরিক মহড়ায় চীনের ‍অংশগ্রহণের সঙ্গে বর্তমান আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির কোনও সম্পর্ক নেই।”

গত মাসে মস্কো আগামী ৩০ অগাস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ‘ভোস্তক’ (পূর্ব) সামরিক মহড়া আয়োজনের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিল।

তখন মস্কো থেকে কয়েকটি বিদেশি দেশ ওই মহড়ায় অংশ নেবে বলেও জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেসময় দেশগুলোর নাম জানানো হয়নি।

চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান দ্বিপাক্ষিক বার্ষিক সহযোগিতা চুক্তির অংশ হিসেবে তারা ওই সামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।

‘‘ওই মহড়ার উদ্দেশ্য হল অংশগ্রহণকারী দেশগুলির সেনাবাহিনীর সঙ্গে ব্যবহারিক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতাকে আরও গভীর করা, অংশগ্রহণকারী পক্ষগুলির মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতার স্তরকে উন্নত করা এবং বিভিন্ন নিরাপত্তা হুমকির জবাব দেওয়ার সক্ষমতা জোরদার করা।”

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বন্ধুত্ব যেমন বেড়েছে তেমনি শির আমলে মস্কোর সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে।

ঠিক এক বছর আগে এই অগাস্ট মাসেই রাশিয়া এবং চীনের সেনাবাহিনী নর্থ-সেন্ট্রাল চীনে সামরিক মহড়া চালায়। যেখানে ১০ হাজারের বেশি সেনা অংশ নেয়।

ওই বছর অক্টোবরে রাশিয়া ও চীন জাপান সাগরে নৌমহড়া করে। তার কয়েকদিন পর প্রথমবারের মত প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমে যৌথ পাহারায় অংশ নেয় দুই দেশের যুদ্ধজাহাজ।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইনে রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পরপরই বেইজিং এবং মস্কো তাদের মধ্যে ‘সীমাহীন অংশিদারিত্ব’ ঘোষণা করে।

তবে চীন এখন পর্যন্ত রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলোর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেনি বলেই জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এমনকি তারা চীন থেকে রাশিয়াকে সামরিক সহায়তা দেয়ার কোনো প্রমাণও পাননি বলে জানান।