ক্রাইমিয়ার সর্বশেষ বিস্ফোরণের জন্য নাশকতা দায়ী: রাশিয়া

ধারাবাহিক এসব বিস্ফোরণ কোন ধরনের অন্তর্ঘাত জড়িত ছিল সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেয়নি রাশিয়া।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 August 2022, 06:40 AM
Updated : 17 August 2022, 06:40 AM

অধিকৃত ক্রাইমিয়ায় রাশিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিতে সম্ভাব্য ইউক্রেইনীয় হামলার এক সপ্তাহ পর উপদ্বীপটির আরেকটি সামরিক স্থাপনার অস্ত্র গুদামে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

রাশিয়ার কমকর্তারা জানিয়েছেন, একটি আগুন থেকে জাঙ্কোই এলাকার ওই বিস্ফোরণগুলো ঘটেছে, আরেকটি আগুনে একটি বিদ্যুৎ স্টেশন ও রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ঘটনার জন্য ‘নাশকতা’কে দায়ী করেছেন তারা।

গত সপ্তাহে ধারাবাহিক কয়েকটি বিস্ফোরণে ক্রাইমিয়া উপকূলে কৃষ্ণ সাগরীয় নৌঘাঁটিতে রাশিয়ার কয়েকটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়। এই হামলায় তাদের কোনো ভূমিকা আছে কিনা তা স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি ইউক্রেইন।

তবে সর্বশেষ বিস্ফোরণ নিয়ে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট দপ্তরের উপদেষ্টা মিখাইলো পদোইলাকের এক মন্তব্যে সেগুলো দুর্ঘটনামূলক নয় বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, জানিয়েছে বিবিসি।

মঙ্গলবারের এসব বিস্ফোরণ কোন ধরনের অন্তর্ঘাত জড়িত ছিল সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেয়নি রাশিয়া।

২০১৪ সালের প্রথমদিকে রাশিয়া ইউক্রেইনের ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিজেদের ভূখণ্ডের অন্তর্ভূক্ত করে নেয়।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, মঙ্গলবার ক্রাইমিয়ায় উত্তরাংশে মাইস্কে গ্রামের কাছে মস্কোর স্থানীয় সময় ভোর সোয়া ৬টায় একটি অস্থায়ী গোলাবারুদের গুদামে বিস্ফোরণগুলো ঘটেছে।

ক্রাইমিয়ার এক তাতার নেতা রেফাত চুভারভ ওই বিস্ফোরণগুলোকে ‘হামলা’ বলে উল্লেখ করে এর শব্দ ‘স্তেপের দূরবর্তী স্থানগুলো থেকেও’ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ‘গুরুতর’ কোনো জখমের ঘটনা ঘটেনি।

কিন্তু রাশিয়ার নিযুক্ত আঞ্চলিক প্রধান সের্জেই আকসাইওনোভ বিস্ফোরণ স্থলটি পরিদর্শন করে জানিয়েছেন, দুই জন আহত হয়েছে এবং নিকটবর্তী গ্রাম থেকে ২ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

রাশিয়া অগ্নি সতর্কতা পালন না করায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেইনের বিমান বাহিনী কমান্ডের মুখপাত্র ইউরি ইয়েনাত।

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এ ঘটনায় আমরা অবশ্যই খুশি হয়েছি, কারণ শত্রুরা যেখানে তাদের হেলিকপ্টার ও অন্যান্য সরঞ্জাম রাখে জাঙ্কোই তাদের মধ্যে একটি।”

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইন আক্রমণ শুরু করার পর থেকে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল এলাকা দখল করতে রাশিয়ার বাহিনীগুলো ক্রাইমিয়ার ঘাঁটিগুলো ব্যবহার করেছে।

Also Read: ফের বিস্ফোরণে কাঁপল রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত ক্রাইমিয়া