সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর ওপর ইয়েমেনের হুতিদের ড্রোন হামলায় বাহরাইনের দুই সেনা নিহত হয়েছে বলে দেশটি জানিয়েছে।
বাহরাইনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম বিএনএ জানায়, সোমবার ইয়েমেন সীমান্তের কাছে সৌদি আরবে ওই হামলায় বাহরাইনের আরও বেশ কয়েকজন সেনা আহত হন।
সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট হামলার নিন্দা করেছে। জোট বাহিনীর মুখপাত্র জেনারেল তুর্কি আল মালিকি এক বিবৃতিতে বলেছেন, হুতিরা সীমান্তের কাছে একটি বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্র ও একটি পুলিশ স্টেশনেও হামলা চালিয়েছে।
বাহরাইনের সামরিক বাহিনী বিবৃতির বরাতে বিএনএ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন কর্মকর্তা ও অপরজন সাধারণ সৈন্য। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হুতিদের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি।
শান্তি উদ্যোগ গতি আসার পর ইয়েমেনে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তুলনামূলক শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, কিন্তু এ ঘটনায় শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার বড় ধরনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ওই হামলার কারণে সৌদি আরব ও হুতি কর্মকর্তাদের মধ্যে চলা আলোচনা ঝুঁকিতে পড়তে পারে। সম্ভাব্য একটি চুক্তির মাধ্যমে ইয়েমেনের যুদ্ধ শেষ করতে তারা সবেমাত্র আরেক দফা আলোচনা শেষ করেছেন।
জোট বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সঙ্কটের অবসান ও একটি ব্যাপক রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছানোর জন্য যে ইতিবাচক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বারবার এ ধরনের শত্রুতা ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।”
উপযুক্ত সময় ও স্থানে জোট বাহিনী ‘জবাব দেওয়ার অধিকার রাখে’ বলেও বিবৃতিতে হুঁশিয়ার করা হয়।
গত সপ্তাহে রিয়াদে প্রথমবারের মতো নেতৃস্থানীয় হুতি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌদি আরবের পাঁচ দিনব্যাপী আলোচনা হয়। ওই আলোচনার ফলাফলকে ‘ইতিবাচক’ আখ্যায়িত করে একে স্বাগত জানিয়েছে সৌদি আরব সরকার।
হুতিরা ২০১৫ সাল থেকে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। এ যুদ্ধে কয়েক লাখ মানুষ নিহত হওয়া ছাড়াও ইয়েমেনের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানবিক ত্রাণ সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। সংবাদ সূত্র: রয়টার্স
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)