ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বহন করে নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে যাওয়া একটি নৌকাকে ভিড়তে দেয়নি দেশটির নৌবাহিনী।
গৃহযুদ্ধ ও সংকট জর্জরিত মিয়ানমার থেকে নৌকাযোগে পালিয়ে বহু সংখ্যক রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে, কিন্তু স্থানীয়দের বিরোধিতা ও শত্রুতার মুখোমুখি হচ্ছে তারা।
ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র নুগ্রাহা গুমিলার জানান, ওয়েহ দ্বীপের কাছে সাগরে কাঠের নৌকাটিকে আটকানো হয়। ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ নৌকাটির গতিরোধ করে সেটিকে দেশটির জলসীমা ছাড়তে বাধ্য করে, পরে ‘সেটি আর ফিরে আসেনি’।
রয়টার্স জানিয়েছে, নৌকাটি মিয়ানমারের নির্যাতিত সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের বহন করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। নৌকাটিতে কতোজন রোহিঙ্গা ছিল তা জানা যায়নি।
কয়েক মাস ধরেই অবৈধভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছতে শুরু করেছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনসিএইচআর) তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত দেড় হাজারেও বেশি রোহিঙ্গা নৌকাযোগে ইন্দোনেশিয়া গিয়ে হাজির হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের এই ঢলে ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে বিরূপ মনোভাব বাড়ছে। রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকার আগমণ বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা তাদের প্রত্যাখ্যান করতে শুরু করেছে। রোহিঙ্গাদের প্রতি মারমুখি হয়ে উঠছে তারা।
বুধবার বান্দা আচেহ নগরীতে রোহিঙ্গাদের একটি আশ্রয় শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছে তারা।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক বিবৃতিতে এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে শরণার্থী পরিবারগুলোর জন্য আরও ভাল সুরক্ষা ব্যবস্থার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: