সিগারেটের প্যাকেটে তো সতর্কবার্তা থাকেই; কিন্তু তাতেও কী ধূমপায়ীদের নিবৃত্ত করা যাচ্ছে? তাইতো এবার সিগারেটের প্রতিটি শলাকার গায়েই সাবধানবাণী বসাতে যাচ্ছে কানাডার সরকার।
ধূমপানের বিষয়ে সচেনতা বাড়াতে বিশ্বে প্রথম এই ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এই সংক্রান্ত আইন আগামী ১ অগাস্ট থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কানাডার স্বাস্থ্য সংস্থা।
এ আইনে প্রতিটি শলাকার গায়ে ‘সিগারেট ক্যান্সারের কারণ’ এবং ‘প্রতি টানে বিষ’ এমন সব সাবধানবাণী মুদ্রিত থাকবে।
২০৩৫ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কানাডার সরকার এই পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বুধবার হেলথ কানাডা এক ঘোষণায় বলেছে, নতুন আইনে তামাকজাত পণ্যে বসানো ‘স্বাস্থ্য সতর্কতা’ এড়িয়ে যাওয়া মানুষের জন্য কার্যত কঠিনই হবে।
স্বাস্থ্য বিষয়ক এই সংস্থার অনুমান, নতুন আইনটি কার্যকর হলে ২০২৫ সালের এপ্রিলের মধ্যে খুচরা বিক্রেতারা প্রতিটি শলাকায় বসানো নতুন সতর্কবার্তাযুক্ত সিগারেটই বিক্রি করবেন।
এ আইনে আলাদা আলাদ প্রতিটি সিগারেট, ছোট চুরুট, টিউব ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যের মোড়কে এই স্বাস্থ্য সতর্কতা থাকবে।
আইনটির ব্যাপারে মতামত জনসাধারণের মতামত নিতে ৭৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, যা শুরু হয়েছিল গত বছর।
বিবিসি লিখেছে, কানাডায় এখন সিগারেটের প্যাকেটের কভারে সাবধানবাণী লেখা থাকলেও এখন প্যাকেটের ভেতরে-বাইরে আরও সতর্কবার্তা যোগ করার কথা ভাবছে হেলথ কানাডা।
দেশটির মানসিক স্বাস্থ্য ও আসক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ক্যারোলিন বেনেট এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রতিবছর কানাডায় ৪৮ হাজার মানুষ কেবল তামাকজাত পণ্যের কারণেই মারা যায়।
“এটি মোকাবেলায় বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে প্রত্যেক সিগারেটে সাবধানবাণী জুড়ে দিতে যাচ্ছি আমরা,” সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘সাহসী পদক্ষেপ’ অ্যাখ্যা দিয়ে এমনটাই বলেন তিনি।
কানাডার ক্যান্সার সোসাইটি, হার্ট অ্যান্ড স্ট্রোক ফাউন্ডেশন লাং অ্যাসোসিয়েশন সরকারের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। এর ফলে লোকজন বিশেষ করে তরুণরা ধূমপান থেকে ‘বিরত থাকবে’ বলে তাদের প্রত্যাশা।
দেশটির ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী জনসংখ্যার ১০ শতাংশই ধূমপায়ী বলে ২০২১ সালে কানাডার ন্যাশনাল টোবাকো অ্যান্ড নিকোটিনের জরিপে উঠে এসেছে।