নির্বাসন থেকে ফিরে জেলে গেলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী সিনাওয়াত্রা

পনের বছর নির্বাসনের অধিকাংশ সময় দুবাইয়ে থাকলেও মঙ্গলবার সিঙ্গাপুর থেকে একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে দেশে ফিরেছিলেন থাকসিন সিনাওয়াত্রা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 August 2023, 07:45 AM
Updated : 22 August 2023, 07:45 AM

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ১৫ বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশে ফেরার পর তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নির্বাসনের অধিকাংশ সময় দুবাইয়ে থাকলেও মঙ্গলবার সকালে সিঙ্গাপুর থেকে একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে দেশে ফেরেন তিনি। স্থানীয় সময় সকাল ৯টার একটু আগে তাকে বহনকারী বিমান ব্যাংককের ডন মুয়াং বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ব্যাংককের প্রধান বিমানবন্দরে নামার পর কিছুক্ষণের জন্য তাকে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। এ সময় তিনি পুয়ে থাইয়ের নির্বাচিত আইনপ্রণেতা ও উপস্থিত শত শত উৎফুল্ল সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান, যারা সারারাত ধরে তার আগমণের অপেক্ষায় বিমান বন্দরের সামনে অবস্থান নিয়ে ছিলেন।

এ সময় একপাশে কন্যা ও অপর পাশে পুত্রকে নিয়ে তিনি থাইল্যান্ডের রাজা ও রাণীর একটি ছবির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর আবার বিমানবন্দরের টার্মিনালের ভেতরে চলে যান।

এর পরপরই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে হাজির করে। সর্বোচ্চ আদালত বিভিন্ন অভিযোগ তাকে আট বছরের কারাদণ্ড দেয়। এখান থেকে তাকে সোজা ব্যাংককের রিমান্ড কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

২০০১ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে থাইল্যান্ডের ক্ষমতায় এসেছিলেন থাকসিন। দেশটির অভিজাত শাসকদের অবহেলার শিকার গ্রামীণ ভোটারদের মধ্যে আবেদন তৈরি করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন তিনি। পাঁচ বছর পর নির্বাচনের আবার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হন তিনি কিন্তু ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় দেশে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে নেয়।

ক্ষমতা দখলকারী সামরিক বাহিনী তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও রাজতন্ত্রের প্রতি আনুগত্য না দেখানোর অভিযোগ করে, কিন্তু তিনি তা দৃঢ়ভাবে খণ্ডন করেন। পরে জান্তা সরকার থাকসিনের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যহারের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনে আর তাতে তিনি অভিযুক্ত হন।

সামরিক বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের দুই বছর পর ২০০৮ সালে কারাবাসের শাস্তি এড়াতে তিনি বিদেশে পালিয়ে যান। তারপর থেকে অধিকাংশ সময় তিনি দুবাইতে ছিলেন।

থাকসিন দেশে ফিরছেন, এমন গুঞ্জনের মধ্যে পুলিশ জানিয়েছিল, তারা থাকসিনকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানোর আগে শুনানির জন্য সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে হাজির করবে।

পুলিশ তাদের কথামতো কাজ করলেও থাইল্যান্ডের অনেকের বিশ্বাস থাকসিন সম্ভবত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে করা একটি সমঝোতার মাধ্যমেই দেশে ফিরেছেন। এই সমঝোতা অনুযায়ী সম্ভবত তাকে কিছু সময়ের জন্য কারাবাস করতে হবে বলে ধারণা তাদের।

আরও পড়ুন:

Also Read: থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন ১৫ বছর পর দেশে ফিরেছেন