তারা বলছেন- লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি, এতে বিজেপি যেমন সরকারে ফিরতে পারে, তেমনি ক্ষমতায় থেকে যেতে পারে কংগ্রেসও।
কংগ্রেস-বিজেপিকে হটিয়ে দিল্লিতে আম আদমি পার্টির ক্ষমতায় যাওয়ার হিসাব কষে সাধারণ মানুষ বলছেন, আঞ্চলিক দলগুলো হতে পারে সরকার গঠনের নির্ণায়ক শক্তি।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ভারতে নয় পর্বে হচ্ছে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ৭ এপ্রিল শুরু হয়ে ১২ মে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে ১৬ মে একযোগে ফল প্রকাশ হবে।
নির্বাচন যতই গড়াচ্ছে, প্রচার-প্রচারণা, আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে লড়াই ততই জমজমাট হচ্ছে।
শনিবার রাজধানী দিল্লির উপকণ্ঠে সিআরসি পার্কের এক নম্বর মার্কেটের ফল বিক্রেতা অনিমা সেনের কাছে ভোটের ফলাফল জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,“প্রচার-প্রচারণা দেখে কোনোভাবে আগাম বলা যাবে না যে বিজেপি ক্ষমতায় যাবে।”
দিল্লির চা বিক্রেতা বিহারের বাসিন্দা অরুণ কুমার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভারতে দুর্নীতি বেড়ে গেছে। সব রাজ্যে সমান উন্নয়ন হয় না। এবারের ভোটে এসব বিষয় নিয়ে বেশি আলোচনা।”
৫৪৫ আসনের লোকসভায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সরকার গঠনের ন্যূনতম আসন ২৭২ আসন না পেলেও তার কাছাকাছি যাবে বলে জরিপের আভাস।
বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। ২০০২ সালে ওই রাজ্যে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার ঘটনায় আদালতের রায়ে ছাড় পেলেও জনতার রায়ে তার ভূমিকা এখনো প্রশ্নবিদ্ধ।
আগামী ৩০ এপ্রিল গুজরাটের ভদোদরা আসনে ভোট গ্রহণ হবে। এই আসনে মোদির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কংগ্রেসের মধুসূদন মিস্ত্রি এবং আম আদমি পার্টির সুনীল দিগম্বর।
কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী, তার ছেলে রাহুল গান্ধী ও মেয়ে প্রিয়াংকা গান্ধী এবার প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন, মোদির গুজরাট মডেলে লাভবান হয়েছে একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান।
শনিবার গুজরাটের বার্নালায় সোনিয়া এবং সুরাটে রাহুল নির্বাচনী প্রচার চালান। গুজরাটের ভাবনগরে নির্বাচনী সমাবেশ করেন মোদি।
ওই উন্নয়ন মডেলে সুবিধা পেয়েই ‘আদানী’ নামে একটি বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে মোদির প্রচারণায় অর্থ আসছে বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেসের ভাইস চেয়ারম্যান রাহুল।
রাহুলের এই অভিযোগ নিয়ে দিল্লিজুড়ে আলোচনা চলতে দেখা যায়। দিল্লি গেইটের কাছে সুদীপ্ত সেন ও কুমার বিশ্বাস নামে দুজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রও এনিয়ে কথা বলছিলেন।
সুদীপ্ত ও কুমার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাহুল গান্ধীর অভিযোগ যদি ঠিকও হয়, তবে এতদিন বললেন না কেন?
দুই ছাত্রই মনে করেন, ভারতে এমন সরকার আসা প্রয়োজন যারা সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে দেশকে উন্নত দেশের তালিকায় নিয়ে যেতে পারবে। দূর হবে দারিদ্র্য।