ইউটিউব ফেসবুক এসএমএস'এ জমজমাট ভারতের নির্বাচন

ইউটিউবে ভিডিও ক্লিপ, ফেসবুক ও ব্লগে সর্বশেষ আপডেট, অনলাইনে ভোটার রেজিস্ট্রেশন আর মোবাইল ফোনে টেক্সট ম্যাসেজে নেতানেত্রীদের ভোট চাওয়া, সব মিলিয়ে নতুনভাবে জমে উঠেছে ভারতের সাধারণ নির্বাচনের প্রচারণা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 March 2009, 05:59 AM
Updated : 17 March 2009, 05:59 AM
মুম্বাই, মার্চ ১৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- ইউটিউবে ভিডিও ক্লিপ, ফেসবুক ও ব্লগে সর্বশেষ আপডেট, অনলাইনে ভোটার রেজিস্ট্রেশন আর মোবাইল ফোনে টেক্সট ম্যাসেজে নেতানেত্রীদের ভোট চাওয়া, সব মিলিয়ে নতুনভাবে জমে উঠেছে ভারতের সাধারণ নির্বাচনের প্রচারণা।
প্রযুক্তিনির্ভর নতুন প্রজন্মের ভোটারদের দলে টানতে মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ পাঠাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। নেতানেত্রীরাও সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে তাদের পেজে নিয়মিত ঢুঁ মারছেন, ব্যয় করছেন অনেকটা সময়।
ভারতে এপ্রিল-মে মাসের এই সাধারণ নির্বাচনে এবার ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৭০ কোটি। এদের মধ্যে যারা প্রথমবার ভোটার হয়েছে এবং প্রযুক্তির কাছাকাছি থাকা সমাজের মধ্যবিত্তদের লক্ষ্য করে নির্বাচনী প্রচারণায় বড় একটা সময় ব্যয় করছে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং প্রধান বিরোধীদল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
কারণটা বুঝতে খুব বেশি বেগ পেতে হয় না। গত তিন বছরে প্রবৃদ্ধির হার প্রায় নয় শতাংশে পৌঁছানো ভারতের দ্রুত বর্ধিষ্ণু অর্থনীতিতে ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন এখন প্রায় সব শ্রেণীর মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে গেছে। প্রযুক্তির এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে রাজনীতিবিদরাও খুব সহজে জনগণকে তাদের কথা পৌঁছে দিতে পারছেন।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গার্টনারের প্রধান গবেষণা বিশেষজ্ঞ দীপতরুপ চক্রবর্তী বলেন, "এবার প্রথমবারের মতো ভোট দেবে প্রায় ১০ কোটি ভোটার। বয়সসীমায় ১৮ থেকে ২৪ বছরের মধ্যের এই ভোটারদের প্রায় সবাই ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংযুক্ত।"
যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বারাক ওবামার বিশাল জয়ে প্রযুক্তি ব্যবহারেরও বিরাট ভূমিকা রয়েছে। প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণায় তিনি বড় অঙ্কের অর্থ ও অনেক সময় ব্যয় করেছিলেন।
ভারতের নির্বাচনে এবার প্রধান দুই দলের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য আলোচনায় থাকা দুজনই বয়স্ক হলেও প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে নেই তাদের দল।
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ৮১ বছর বয়সী নেতা এলকে আদভানির হাতে সবসময় থাকে একটি আইফোন। নিজের নামে তিনি একটি ব্লগও চালাচ্ছেন।
আদভানি তার ব্লগে লিখেছেন, "আমার প্রায় ছয় দশকের রাজনৈতিক জীবনে, আমি সব সময় আগ্রহের সঙ্গে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছি। সেই ক্যসিও ডিজিটাল ডায়েরি দিয়ে শুরু করে আজকের আইপড থেকে আইফোন।" তার এই ব্লগে মন্তব্য পড়েছে শতাধিক।
নির্বাচনী প্রচারণার লক্ষ্যে ইউটিউবের জন্য ভিডিও তৈরি করেছে বিজেপি। নয়াদিল্লিতে দলটি সদর দপ্তরের কাজ করছে একঝাঁক তরুণ। নির্বাচনের সর্বশেষ খবর ওয়েবসাইটে দিতে তারা আঠার মতো লেগে আছে কম্পিউটারের সঙ্গে।
নতুন প্রজন্মের ভোটারদের আকৃষ্ট করার লড়াইয়ে বিজেপির থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকতে পারে কংগ্রেস। কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধীর ছেলে ৩৮ বছরের রাহুল গান্ধীই দলের যুব শাখার নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
ফেসবুকে রাহুলের সমর্থক আছে হাজার হাজার। আর নির্বাচনী বিলবোর্ডে তার ছবিও বেশ ফলাও করে প্রদর্শন করা হচ্ছে। যদিও কংগ্রেস ক্ষমতায় গেলে ফের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৭৬ বছর বয়সী মনমোহন সিংয়ের।
নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহারের জন্য অস্কার বিজয়ী বলিউড ছবি 'স্লামডগ মিলিওনিয়ার' এর 'জয় হো' গানটির স্বত্ব কিনে নিয়েছে কংগ্রেস।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এফএইচবি/এমএইচবি/১৭২৭ ঘ.