শ্রীলঙ্কার গ্যাস, জ্বালানির ঘাটতি ‘কমার পথে’

জ্বালানি ও রান্নার গ্যাসের আমদানীকৃত চালানের জন্য শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিদেশি মুদ্রা নিশ্চিত করায় ঘাটতি কিছুটা কমবে বলে জানিয়েছেন এর গভর্নর।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 May 2022, 12:57 PM
Updated : 19 May 2022, 12:57 PM

১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে সবচেয়ে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের মোকাবেলা করা ভারত মহাসাগরের দ্বীপদেশটির অধিকাংশ পেট্রল স্টেশনে কোনো জ্বালানি নেই। বাণিজ্যিক রাজধানী কলম্বোর কিছু পেট্রল পাম্পে বহু লোক প্লাস্টিকের ক্যান হাতে জ্বালানির জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছে আর যুদ্ধসাজে সজ্জিত সেনারা অ্যাসাল্ট রাইফেল হাতে রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে। রাস্তাগুলোতে গাড়ির সংখ্যা খুব কম।

রাস্তায় যানবাহন তেমন না থাকায় অধিকাংশ লোকজন বাড়িতেই অবস্থান করছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পি নন্দলাল বীরাসিংহে জানিয়েছেন, বিশ্ব ব্যাংক থেকে পাওয়া ১৩ কোটি ডলার ও প্রবাসী শ্রীলঙ্কানদের পাঠানো রেমিট্যান্সের অংশ ব্যবহার করে জ্বালানি ও রান্নার গ্যাসের চালানের জন্য পর্যাপ্ত ডলার ছাড় করা হয়েছে।   

এর আগে এক নীতি নির্ধারণী বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার স্থিতিশীল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এর কারণ হিসেবে তারা এপ্রিলে এক লাফে ৭ শতাংশ সুদ বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে ওই পদ্ধতিতে কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছে।

দেশ রাজনৈতিকভাবে কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ায় তিনি তার পদে থাকবেন বলে জানিয়েছেন বীরাসিংহে। এর আগে ১১ মে তিনি বলেছিলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে অর্থনৈতিক সংকট সামলাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেওয়া কোনো পদক্ষেপ সফল হবে না, তাই দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হলে তিনি পদত্যাগ করবেন।

বিরোধীদলীয় পার্লামেন্ট সদস্য রনিল বিক্রমাসিংহকে গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। রনিল মন্ত্রিসভায় চারটি নিয়োগ দিলেও এখনও পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী পদে কাউকে নিয়োগ দেননি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছেন, তাদের ব্যাংক ও সরকার ইতোমধ্যে চাহিদাজনিত মুদ্রাস্ফীতিতে লাগাম পরাতে পেরেছেন কিন্তু সরবরাহের দিক থেকে আসা চাপের কারণে আগামী কয়েক মাসে মুদ্রাস্ফীতি আরও ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে।  

এপ্রিলে দেশটিতে ২৯ দশমিক ৮ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে এবং খাদ্য মূল্য এক বছরে ৪৬ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। 

বলা হচ্ছে, কোভিড মহামারীতে পর্যটন খাত থেকে আয় শূ্ন্যে নেমে যাওয়া, ইউক্রেইন যুদ্ধের ফলে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি এবং জনগণের মন জয় করতে রাজাপাকসে সরকারের কর কর্তন শ্রীলঙ্কার আজকের পরিস্থিতির জন্য মূলত দায়ী।

আরও খবর: