রোববার স্থানীয় সময় সকালে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ থেকেই এ ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডারটি উদ্ধার করা হয় বলে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কুনমিং থেকে গুয়াংঝু যাওয়ার পথে গত সোমবার ১৩২ আরোহীর ফ্লাইট এমইউ৫৭৩৫ গুয়াংশির পার্বত্য এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
টানা কয়েকদিনের উদ্ধার তৎপরতার পর শনিবার রাতে এক ঘোষণায় চীনা কর্মকর্তারা বিমানের ৯ ক্রুসহ আরোহীদের সবার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন।
গত প্রায় তিন দশকে চীনের মূল ভূখণ্ডে কোনো বিমান দুর্ঘটনায় এত প্রাণহানি দেখা যায়নি।
১৯৯৪ সালে চীনের নর্থওয়েস্ট এয়ারলাইনসের একটি বিমান বিধ্বস্ত হলে ১৬০ আরোহীর সবাই মারা পড়ে।
গত সপ্তাহে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের বোয়িংটি কেন বিধ্বস্ত হয়েছে, তার কারণ এখনও অজানা।
বুধবার বিমানটির একটি ব্ল্যাক বক্স, ককপিট ভয়েস রেকর্ডারটি পাওয়া যায়; পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সেটিকে বেইজিংয়ে পাঠানো হয়েছে।
রোববার স্থানীয় সময় সকালে দুর্ঘটনাস্থলের একটি ঢাল খুড়ে ৫ ফুট গভীর থেকে দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে সিসিটিভি।
ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের এ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে চীনই নেতৃত্ব দিচ্ছে। বোয়িং ৭৩৭-৮০০র নকশা ও নির্মাণ যুক্তরাষ্ট্রে হওয়ায় তদন্তে অংশ নিতে তাদেরকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেইফটি বোর্ড জানিয়েছে, তদন্তকাজে অংশ নেওয়ার আগে ভিসা ও কোভিড কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত যেসব ইস্যু আছে সেগুলোর সমাধানে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে।