করোনাভাইরাস মহামারীর শুরু থেকে রাশিয়ায় একদিনে এত মানুষের মৃত্যু এটিই সবচেয়ে বেশি। একইদিনে দেশটিতে নতুন করোনাভাইরাস শনাক্তও হয়েছে ২৮, ১৯০ জনের।
শনাক্তের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাওয়া এবং বেশিসংখ্যক মানুষ ভাইরাস আক্রান্ত হতে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাশিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকেও সোমবার টেলিভিশনে প্রচারিত একটি সরকারি বৈঠকে বারবার কাশতে দেখা গেছে।
তার স্বাস্থ্য নিয়ে অন্যান্যদের উদ্বেগের জবাবে পুতিন অবশ্য বলেছেন, তিনি সুস্থ আছেন এবং প্রতিদিনই করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাচ্ছেন। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই।
তবে, দেশে দৈনিক মৃত্যুর নতুন রেকর্ডের পরিপ্রেক্ষিতে টিকাদান কর্মসূচির গতি সঞ্চার করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।
নবনির্বাচিত আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে এক বক্তব্যে পুতিন আরও বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে সমর্থন দেওয়ার জন্য তাদেরকে আহ্বান জানিয়েছেন।
“টিকা মানুষকে ভাইরাস সংক্রমণ, মারাত্মক উপসর্গ থেকে সুরক্ষা দেয়। আমাদের আরও দ্রুতগতিতে টিকা দেওয়া দরকার,” আইনপ্রণেতাদেরকে বলেন পুতিন।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমতে থাকলেও রাশিয়ায় তা বাড়ছে। এ পরিস্থিতির জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক মানুষের টিকা না নেওয়াকেই দায়ী করেছে ক্রেমলিন।
গতবছর করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর খুব কম সময়ের মধ্যেই রাশিয়া তাদের নিজস্ব স্পুৎনিক কোভিড টিকা তৈরি করে তা দিতেও শুরু করে। কিন্তু দেশটিতে টিকাদান চলছে ধীর গতিতে।
রাশিয়ার নাগরিকরা অনেকেই কর্র্তৃপক্ষের ওপর আস্থা না থাকা এবং নতুন চিকিৎসা পন্য নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। রুশ প্রধানন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন মঙ্গলবার বলেছেন, রাশিয়ার জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে রাশিয়ায় মহামারীর যে ঢেউ চলছে তাতে দ্রুতই মানুষ ভাইরাস আক্রান্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো টিভিতে এক সরকারি বৈঠকে বলেছেন, সম্প্রতি ১১ লাখ মানুষের কোভিড-১৯ উপসর্গের চিকিৎসা করা হচ্ছে।