মহামারীর শুরুর দিনগুলোর তুলনায় আরও বেশি কঠোর এই নতুন বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা বৃহস্পতিবার দিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া।
হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা উপচে পড়ায় এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) শয্যা পূর্ণ হয়ে যেতে থাকায় অধিবাসীদের ফের ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম।
তাছাড়া, আইসিইউ’র ধারণক্ষমতা আরও কমে ১৫ শতাংশের নিচে চলে গেলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই খেলার মাঠ, রেস্তোঁরা, সেলুনসহ সবকিছু বন্ধ হয়ে যাবে।
ঘরে থাকার নির্দেশের আওতায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোনোয় নিষেধাজ্ঞা থাকবে। বিধিনিষেধ থাকবে সামাজিক এবং বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও। নতুন এইসব বিধিনিষেধ তিন সপ্তাহের জন্য বলবৎ থাকবে।
নিউসম বলেছেন, “আমরা এখনই পদক্ষেপ না নিলে হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে; সেইসঙ্গে আমরা মৃত্যুহারও বেড়েই যেতে দেখব।”
ক্যালিফোর্নিয়ায় গত মার্চ-এপ্রিলের দিকেও মৃত্যু বাড়তে থাকায় রাজ্যের নেতারা মানুষজনকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল নিউ ইয়র্কসহ অন্যান্য স্থানেও।
আর এখন পরিস্থিতি তখনকার চেয়েও আরও খারাপ। দেশটিতে দৈনিক মৃত্যু এবং হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা রেকর্ড গড়েছে। ভাইরাস সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রায় ৪ কোটি লোকের বাস। সেখানে দুই সপ্তাহেই হাসপাতালে কোভিড রোগীর সংখ্যা ৮৬ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন গভর্নর নিউসম।
রাজ্যটিতে বুধবার একদিনে রোগী শনাক্ত হয়েছে রেকর্ড ১৮ হাজার ৫৯১ জন। যাদের ১২ শতাংশেরই দুই সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন পড়বে।
এ অবস্থায় ক্যালিফোর্নিয়া কর্তৃপক্ষ কড়া লকডাউনের পথে হাঁটছে। যদিও এমন পদক্ষেপ সাময়িক বলে জানিয়েছেন গভর্নর নিউসম।
তিনি বলেন, একাধিক কোম্পানির তৈরি কোভিড-১৯ টিকা এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। ফলে কঠোর বিধিনিষেধের দুর্ভোগ বেশিদিন পোহাতে হবে না বলেই আশা করা হচ্ছে।