দেশটি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাজধানীসহ দেশজুড়ে অন্যান্য শহরেও মানুষ বিক্ষোভ করেছে।
ইউরোপের বেশিরভাগ দেশেই সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রথম দফার চেয়েও দ্বিতীয় দফায় আরও বেশি গুরুতর আকার ধারণ করেছে।
সংক্রমণ ঠেকাতে তাই অনেক দেশই আবার কড়া লকডাউনের পদক্ষেপে ফিরে যাচ্ছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে মানুষের দৈনন্দিন জীবন, ঝুঁকিতে পড়ছে মানুষের জীবন-জীবীকা। ফলে দেশে দেশে দেখা দিচ্ছে বিক্ষোভ।
স্লোভাকিয়ায় মঙ্গলবারের বিক্ষোভে যোগ দেওয়া এক বিক্ষোভকারী রয়টার্সকে বলেন, তার জীবনে এই বিধিনিষেধের কোনও অর্থ নেই। “আমাদেরকে স্রেফ বাড়িতে বসে থাকতে হচ্ছে,” বলেন তিনি।
এদিন বিক্ষোভকারীরা মাস্ক পরার নিয়মের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। স্লোভাক পতাকা হাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানসহ সরকারি কার্যালয়গুলোর বাইরেও তারা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে।
স্লোভাকিয়ায় এখন পর্যন্ত মোট ৮৮,৬০২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে; আর মারা গেছে ৫৫৭ জন। সোমবার দেশটিতে শনাক্ত হয়েছে ১,৩২৬ জন।
ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো স্লোভাকিয়াতেও সেপ্টেম্বর থেকেই লাফিয়ে বেড়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। অথচ গত মার্চে প্রথম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় দেশটি এর বিস্তার সীমিত রাখতে সফল হয়েছিল।