ভোট দিচ্ছে নিউ জিল্যান্ড, অ’ডুর্নের সহজ জয়ের আভাস

তিন বছরের জন্য দেশ পরিচালনার ভার কাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে, তা ঠিক করতে সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে নিউ জিল্যান্ডের লাখ লাখ নাগরিক।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2020, 07:13 AM
Updated : 17 Oct 2020, 07:13 AM

শনিবারের এ নির্বাচন সেপ্টেম্বরেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ এর নতুন প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় ভোট এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়। 

বিবিসি জানিয়েছে, দক্ষতার সঙ্গে করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলা করায় প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্নই দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন বলে ভোটের আগে হওয়া সব জনমত জরিপে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। 

নিউ জিল্যান্ডের এখনকার নির্বাচনী ব্যবস্থায় কোনো দলের পক্ষে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন দুরূহ। কিন্তু অ’ডুর্নের এখন যে জনপ্রিয়তা তাতে তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যেতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন।  

১৯৯৬ সালে দেশটিতে মিশ্র সদস্য আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (এমএমপি) ব্যবস্থা চালুর পর কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

নিউ জিল্যান্ডে নতুন পার্লামেন্ট বেছে নেওয়ার ভোট শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে, চলবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।

এর আগে ৩ অক্টোবর থেকে আগাম ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছিল। সেখানেও ১০ লাখের বেশি মানুষ তাদের রায় জানিয়েছেন।

প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার পাশাপাশি শনিবার নিউ জিল্যান্ডের ভোটারদেরকে স্বেচ্ছামৃত্যুর বৈধতা দেওয়া এবং গাঁজা বৈধ ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত দুটো গণভোটেও অংশ নিতে হচ্ছে।

এবারের নির্বাচনে অ’ডুর্নের লেবার পার্টির সঙ্গে জুড়িথ কলিন্সের মধ্য-ডানপন্থি ন্যাশনাল পার্টিরই মূল লড়াই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সরকার গঠন করতে পারলে ন্যাশনাল পার্টি অবকাঠামোগত বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ঋণ মওকুফ ও কিছু সময়ের জন্য কর হ্রাসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অন্যদিকে লেবার পার্টির প্রতিশ্রুতির মধ্যে আছে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আরও অর্থ দেওয়া, সবচেয়ে বেশি আয় করা ২ শতাংশের উপর আরও করারোপ এবং জলবায়ুবান্ধব নীতি নেওয়া।

মিশ্র সদস্য আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (এমএমপি) ব্যবস্থায় ভোটারদেরকে মোট দুটো ভোট দিতে হয়। একটি দিতে হয় পছন্দের দলকে, অন্যটি নির্বাচনী আসনের পছন্দের প্রার্থীকে। 

পার্লামেন্টে যেতে হলে একটি দলকে হয় কোনো নির্বাচনী আসনে জিততে হবে, নতুবা ৫ শতাংশের বেশি ভোট পেতে হবে।

নিউ জিল্যান্ডের পার্লামেন্টে মাউরি প্রার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু আসন সংরক্ষিত আছে।

এমএমপি ব্যবস্থায় জোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা বেশি থাকায় শরিক দলগুলোর ফলাফলের উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে।

২০১৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে মধ্য ডানপন্থি ন্যাশনাল পার্টি সবচেয়ে বেশি আসন জিতলেও গ্রিন পার্টি ও নিউ জিল্যান্ড ফার্স্ট পার্টিকে নিয়ে অ’ডুর্নের লেবার পার্টিই বাজিমাত করেছিল।