শনিবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তাকে একথা বলতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রুহানির ভাষণের দুইদিন আগে বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েল নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একটি ‘ঐতিহাসিক চুক্তিতে’ সম্মত হওয়ার কথা জানায়।
ফিলিস্তিনিরা তাৎক্ষণিকভাবে একে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ অ্যাখ্যা দেয়। তারা আরব লীগ ও অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনকে (ওআইসি) চুক্তিটি প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দিতেও আহ্বান জানিয়েছে।
অন্যদিকে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষণকে ‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য ঐতিহাসিক মুহুর্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো উপসাগরীয় আরব অঞ্চলের অন্যান্য দেশও একই পথে হাঁটবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছে তারা।
ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের এ চুক্তি নিয়ে ওই অঞ্চলের প্রভাবশালী সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ সৌদি আরবের আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ইসরায়েল ও সৌদি আরব উভয় দেশই যুক্তরাষ্ট্রের বেশ ঘনিষ্ঠ।
ইসরায়েলের সঙ্গে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর সরাসরি কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে তেল আবিবের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ আছে।
বৃহস্পতিবার আমিরাত-ইসরায়েল চুক্তির ঘোষণা আসার পরপরই ইরান এ চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে।
শনিবারের ভাষণে রুহানিও ফিলিস্তিন বিষয়ে তেহরানের আগের অবস্থানই পুনর্ব্যক্ত করেন।
ইসরায়েলকে ‘এ অঞ্চলে পা রাখার সুযোগ’ করে দেওয়ার ব্যপারে উপসাগরীয় দেশগুলোকে সতর্কও করেছেন তিনি।