স্ট্যানফোর্ড মেডিসিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি কোভিড-১৯ নির্মূলে হোয়াইট হাউসের টাস্ক ফোর্সের দেওয়া নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলারও তাগিদ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
শারীরিক দূরত্ব, মাস্ক পরা, ভিড় এড়িয়ে চলা এবং হাত ধোয়ার মতো মৌলিক সুরক্ষার বিষয়গুলো মেনে চলার উপর জোর দিয়েছেন ফাউচি।
“এসব বিষয়, যেগুলো সহজেই করা যায়, পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে। আমার মনে হয়, আমরা এটা পারবো। এগুলোই আমাদের করতেই হবে,” বলেছেন তিনি।
প্রাণঘাতী নতুন করোনাভাইরাসের ফের ঊর্ধ্বগতিতে দৃঢ় সতর্কবার্তা জানিয়েছেন ফাউচি।
হোয়াইট হাউসের করোনাভাইরাস বিশেষজ্ঞরা ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ শিথিলের যে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যকে আগেও তা অনুসরণ করতে বলেছিলেন তিনি।
“আমরা পুরোপুরি শাটডাউন করতে পারিনি, এ কারণেই আমাদের সংক্রমণের হার আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। আমাদের আক্রান্তের সংখ্যা নামতে শুরু করেছিল, কিন্তু যখন (গ্রাফ) খানিকটা সমতল ছিল, তখনও এ সংখ্যা তুলনামূলক বেশিই ছিল, দিনে প্রায় ২০ হাজারের মতো আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছিল।
“এরপরই আমরা বিধিনিষেধ শিথিল করে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখতে শুরু করি, যার ধারাবাহিকতায় আমরা এখন ক্যালিফোর্নিয়া, আরিজোনা, টেক্সাস, ফ্লোরিডা ও আরও কিছু রাজ্যের অবস্থা দেখছি,” বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের পরিচালক ফাউচি।
মার্কিন করোনাভাইরাস বিষয়ক টাস্ক ফোর্সের নির্দেশনায় থাকা শর্ত পূরণ হওয়ার আগেই অনেক রাজ্য অর্থনীতি ফের সচলে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে।
“দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটি (তাড়াহুড়া করে খুলে দেওয়া) আমাদের জন্য ভালো হয়নি,” বিভিন্ন রাজ্যের পানশালাগুলোতে তুমুল ভিড় ও নির্দেশনা অনুযায়ী মাস্ক না পরার বিষয়ে ইঙ্গিত করে বলেন ফাউচি।
নির্দেশনা অনুযায়ী চললে যুক্তরাষ্ট্র যে এখনও প্রাণঘাতী এ ভাইরাস মোকাবেলায় সক্ষম হবে, তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই এ সংক্রামক বিশেষজ্ঞের।
“যদি আমরা পিছিয়ে যাই, ফের শাটডাউন করার দরকার নেই, কেবল খানিকটা পিছিয়ে আসতে হবে আর তারপর বিচক্ষণতার সঙ্গে নির্দেশনাগুলো দেখে ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হবে,” বলেছেন তিনি।
রয়টার্সের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, গত দুই সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের মধ্যে প্রায় ৪০টিতে সংক্রমণের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজ্যগুলোর মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, অ্যারিজোনা ও টেক্সাস যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস মহামারীর নতুন উপকেন্দ্র হয়ে উঠেছে।