সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) বলেছে, সরকারি হিসাবে যা এসেছে, রোগীর পরিমাণ তারও প্রায় ১০ গুণ বেশি হবে বলে তাদের ধারণা।
বিবিসি জানিয়েছে, সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ও হাসপাতালে রোগী বাড়তে থাকায় টেক্সাস কর্তৃপক্ষ বিধিনিষেধ আরও শিথিলের পথ থেকে সরে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় এ অঙ্গরাজ্যে বৃহস্পতিবার রেকর্ড ৫ হাজার ৯৯৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের, এ সংখ্যা গত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
টেক্সাসের মতো দক্ষিণের আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে গত কয়েক দিনে ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে দেখা যাচ্ছে।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন পূর্বাভাস দিয়েছে, অক্টোবরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা এক লাখ ৮০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
তবে দেশটির ৯৫ শতাংশ মানুষ যদি নিয়ম মেনে মাস্ক পরেন, তাহলে এ সংখ্যা এক লাখ ৪৬ হাজারের মধ্যে রাখা সম্ভব বলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মনে করছেন।
শনাক্ত রোগী ও মৃত্যু সংখ্যায় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে সবার উপরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি হিসাবেই আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ ২২ হাজার পেরিয়ে গেছে, মৃত্যু ছাড়িয়েছে এক লাখ ২২ হাজার।
সিডিসির পরিচালক ড. রবার্ট রেডফিল্ড বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের অনুমান, একজন রোগী শনাক্ত হয়ে থাকলে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা আসলে ১০ জন।”
যাদের মধ্যে লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, কেবল তাদেরই পরীক্ষা করায় উপসর্গবিহীন আক্রান্তরা বাদ পড়ে যাচ্ছেন; এ কারণেই প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
এ মার্কিন ভাইরোলজিস্ট বলেন, “মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে আমরা যে পদ্ধতিতে রোগ শনাক্তের চেষ্টা করেছি, তাতে সম্ভবত মাত্র ১০ শতাংশ রোগীকে চিহ্নিত করতে পেরেছি আমরা।”
সাবধানতা অবলম্বনে মার্কিন নাগরিকদের সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা মেনে চলতে, মাস্ক পরতে ও নিয়মিত হাত ধোয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কেবল বুধবারই ৩৬ হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। ২৪ এপ্রিলের পর দেশটিতে এক দিনে এত রোগী আর শনাক্ত হয়নি।