মিয়ানমারে সংঘর্ষে নিহত ৩২, বেশিরভাগই নারী-শিশু: জাতিসংঘ

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় দুই রাজ্য রাখাইন ও চিনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের কয়েক সপ্তাহের সংঘর্ষে অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়। 

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2020, 07:54 AM
Updated : 18 April 2020, 10:34 AM

নিহত এ বেসামরিকদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু, বলছে তারা।

শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সংস্থাটি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের বাড়িঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংসেরও অভিযোগ করেছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর আরও স্বায়ত্তশাসনের জন্য সশস্ত্র লড়াইয়ে নামা আরাকান আর্মির সঙ্গে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ চলছে।

“মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রায় প্রতিদিনই জনবহুল এলাকাগুলোতে বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে ২৩ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বেসামরিক নিহত ও ৭১ জন আহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সেনাবাহিনী ওইসব এলাকার বাড়িঘর এবং স্কুলও জ্বালিয়ে দিচ্ছে,” বলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের মুখপাত্র রুপার্ট কলভিল।

রাখাইনে গত বছরের জুন থেকে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় সেখানকার খবর সংগ্রহ বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

“যে খবর পাওয়া গেছে, তাতে হতাহতরা হামলার শিকার নাকি মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির যুদ্ধের মাঝখানে পড়েছিলেন, তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি,” বলেছেন এ কর্মকর্তা।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল তুন তুন নোয়াই তাদের বিরুদ্ধে বেসামরিক হত্যা এবং বাড়িঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।

“কী ঘটছে তার খবর প্রকাশ করছি আমরা। সেগুলো পড়লেই আপনি সব জানতে পারবেন। মনে হয় না, এর বাইরে আমার আর কিছু বলার থাকতে পারে,” রয়টার্সকে বলেছেন তিনি।

এর আগে গত সপ্তাহে মিয়ানমারের স্থানীয় কর্মকর্তারা রাখাইনের কেয়াউক সেইক গ্রামে সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে ৮ বেসামরিক নিহতের খবর দিলেও সেনাবাহিনী তা অস্বীকার করে।