মঙ্গলবার মিয়ানমারের সামরিক মুখপাত্র তুন তুন নাই জানান, নৌবাহিনী রোববার তানিনথারাই ডিভিশনের কাওথাউং শহরে ২২ শিশুসহ ওই রোহিঙ্গদেরকে বহনকারী একটি সন্দেহজনক নৌকা আটক করেছে। পুলিশ এ ব্যাপারে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
আটক হওয়া রোহিঙ্গারা মিয়ানমার নাকি বাংলাদেশ থেকে সাগর পাড়ি দিচ্ছিল তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন কাওথাউং শহরের প্রশাসনিক কারযালয়ের সহকারী পরিচালক মায়াত থু।
রয়টার্সকে ফোনে তিনি বলেন, “এখন আমরা তাদেরকে সাগরে কাউথায়ুংয়ের একটি দ্বীপে নিরাপত্তা রক্ষীদের পাহারায় রেখেছি। তাদের সবরকম মানবাধিকার সুরক্ষিত রাখার বিষয়টিও আমরা নিশ্চিত করছি।”
২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কিছু স্থাপনায় ‘বিদ্রোহীদের’ হামলার পর রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে শুরু হয় সেনাবাহিনীর অভিযান। সেই সঙ্গে শুরু হয় বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে রোহিঙ্গাদের ঢল।
এরপর গত দুই বছরে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। তাদের কথায় উঠে আসে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ভয়াবহ বিবরণ, যাকে জাতিগত নির্মূল অভিযান বলে জাতিসংঘ।
মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইনের অনেক আটকশিবির এবং গ্রামেও রয়ে গেছে প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা। সেখানে তারা অবাধে চলাচল করতে পারে না। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবাও ঠিকমত পায় না।
সংগঠিত পাচারকারী চক্রের সহায়তায় বহু বছর ধরেই এ রোহিঙ্গরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে আসছে। ২০১৫ সালে প্রায় ২৫ হাজার জন আন্দামান সাগর পাড়ি দিয়েছে। তাদের অনেকেই ডুবে মারাও গেছে।
তবে বন্ধ হয়নি মানবপাচার।মিয়ানমারে নিপীড়ন থেকে বাঁচতে এখনো অনেক রোহিঙ্গারই ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। তার মধ্যেই ১৭৩ রোহিঙ্গা বহনকারী ওই নৌকা আটক হল।