পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে কাশ্মীরে হস্তক্ষেপের আহ্বান জঙ্গিনেতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী না পাঠালে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জনগণকে রক্ষায় পাকিস্তানেরই সৈন্য পাঠানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন উপত্যকাটিকে ক্রিয়াশীল একটি জঙ্গিসংগঠনের কমান্ডার।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2019, 09:46 AM
Updated : 2 Sept 2019, 09:55 AM

“ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরে প্রবেশে করে ওই অঞ্চলের জনগণকে সামরিকভাবে সহযোগিতা করা বিশ্বের প্রথম মুসলিম পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর বাধ্যবাধকতারমধ্যে পড়ে,” বলেছেন কাশ্মীরে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা ডজনের বেশি গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত মোর্চা ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিলের (ইউজেসি) প্রধান সৈয়দসালাহউদ্দিন।

গত মাসে ভারত তাদের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদে কাশ্মীরকে দেওয়া বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর এর প্রতিক্রিয়ায় কড়া পদক্ষেপ নিতে দেশের ভেতরেই তুমুল চাপের মুখে আছেনপাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান; তার মধ্যেই সালাহউদ্দিনের এ মন্তব্য এলো বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

“পরীক্ষার এই সময়কালে ছোটখাট কূটনীতিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা কোনো কাজেই আসবে না,” পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকা কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে কয়েকশলোকের এক সমাবেশে বলেছেন সালাহউদ্দিন।

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের মাধ্যমে নয়া দিল্লি জম্মু ও কাশ্মীরের নিজস্ব আইন বানানোর ক্ষমতা এবং বাসিন্দা নয় এমন কারও জমি ক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।

এ সংস্কার কাশ্মীরের সবাইকে উপকৃত করে অঞ্চলটির উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে বলে ভারত সরকার দাবি করলেও বিশেষে মর্যাদা বাতিলের এ সিদ্ধান্ত উপত্যকাটির অনেককেই ক্ষুব্ধকরেছে।

অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই সেখানে টেলিফোন, টেলিভিশন সম্প্রচার ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। চলাচল ও সমাবেশেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই সমগ্র কাশ্মীরের মালিকানা দাবি করলেও দুটি দেশই অঞ্চলটির আলাদা দুটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।  

ফেব্রুয়ারিতে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আধাসামরিক পুলিশের ওপর প্রাণঘাতী হামলার পর তুমুল আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসলামাবাদ ওই অঞ্চলে ক্রিয়াশীল জঙ্গি- সন্ত্রাসীসংগঠনগুলোর ওপর সাঁড়াশি অভিযান চালানোর ঘোষণা দেয়।

সালাহউদ্দিন বলছেন, পাকিস্তান সরকারের এসব ‘নির্দয় পদক্ষেপ’ কাশ্মীরে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে তার গোষ্ঠীর সক্ষমতা কমিয়েছে।

“ভারতের এ অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করতে এসব পদক্ষেপ আমাদের নিবৃত রেখেছে,” বলেছেন তিনি।

পাকিস্তানি কর্মকর্তারা বলছেন, ইসলামাবাদ যে এ বিষয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করছে তা তুলে ধরতে কাজ করার পাশাপাশি সরকার (পাকিস্তান) ভারতের বিরুদ্ধে প্রক্সি হিসেবে জঙ্গিদেরব্যবহারে উসকানি দেয়ার ইঙ্গিতও প্রত্যাখ্যান করেছে।

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বাদগাম শহরের বাসিন্দা সালাহউদ্দিনের নাম ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসীর’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ইসলামাবাদ সেসময় ওয়াশিংটনের এপদক্ষেপকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছিল।