আকাশসীমা লঙ্ঘন নিয়ে রাশিয়া-দক্ষিণ কোরিয়া বিরোধ

সামরিক বিমানের আকাশসীমা লঙ্ঘন নিয়ে বিরোধে জড়িয়েছে রাশিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের জন্য রাশিয়া ক্ষমা চেয়েছে বলে সিউল দাবি করেছে। তবে রাশিয়া ক্ষমা চাওয়ার কথা জোরগলায় অস্বীকার করেছে।

>>রয়টার্স
Published : 24 July 2019, 12:48 PM
Updated : 24 July 2019, 03:16 PM

মঙ্গলবার রাশিয়ার একটি এ-৫০ নজরদারি বিমান দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ভিতরে ঢুকে পড়ার পর সিউলের সামরিক বাহিনী সেটিকে সতর্ক করতে গুলি ছুড়ে বলে জানায় দেশটির জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ ঘটনার জন্য রাশিয়ার এক কর্মকর্তা ‘গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন’ বলে বুধবার জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। চীনের সঙ্গে এক যৌথ মহড়া চলাকালে রাশিয়ার সামরিক বিমানটি দু’বার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে বলে জানায় দক্ষিণ কোরিয়া।

কিন্তু রাশিয়া আকাশসীমার কোনোরকম লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া তাদের কাছে রাশিয়ার ক্ষমা চাওয়ার যে খবর জানিয়েছে তাও বুধবার অস্বীকার করেছে সিউলের রুশ দূতাবাস।

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার এর আগে বলেছিল, রাশিয়ার একজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার আকাশসীমা লঙ্ঘনের কথা স্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, এ অনধিকার প্রবেশ উদ্দেশ্যমূলক ছিল না। এ ঘটনার জন্য পযুক্তিগত ত্রুটিই দায়ী এবং মস্কো জলদি বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

“বিমানটি প্রাথমিকভাবে পরিকল্পিত রুটে উড়লে এমন ঘটনা ঘটত না”, মস্কো এমন কথাই বলেছে বলে জানান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবনের এক মুখপাত্র।

কিন্তু রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় বলছে, আকাশসীমা কোনোভাবেই লঙ্ঘন করেনি তারা। তাছাড়া, কোরিয়ার এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনকেও (কেএডিআইজি) তারা স্বীকার করে না।

আকাশসীমা লঙ্ঘন করা হয়নি উল্লেখ করে রুশ কর্মকর্তারা বুধবার দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি সরকারি নথিও পাঠিয়েছে। তাছাড়া, দক্ষিণ কোরিয়ার পাইলটরা রাশিয়ার বিমানের নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি করছে বলেও রাশিয়া অভিযোগ করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর ভাষ্যমতে, মঙ্গলবার সকালে রাশিয়ার তিনটি ও চীনের দুটি সামরিক বিমান একত্রে কোরিয়ার এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনে (কেএডিআইজেড) প্রবেশ করেছিল। সেখানে প্রবেশের আগে বিদেশি আকাশযানগুলোকে আগেভাগেই তাদের পরিচয় জানাতে হয় বলে দাবি করেছে তারা।

তারা আরও জানায়, রাশিয়ার পৃথক একটি আগাম সতর্কতা ও নিয়ন্ত্রণ বিমান (এ-৫০) সকাল ৯টার (স্থানীয় সময়) পর দুইবার দোকদো দ্বীপের ওপরে দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে। দক্ষিণ কোরিয়ার দখলে থাকা এই দ্বীপটির মালিকানা জাপানও দাবি করে আসছে।