মঙ্গলবার রাশিয়ার ওই আকাশযানটি দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ভিতরে ঢুকে পড়ার পর তাদের সামরিক বাহিনী সেটিকে সতর্ক করতে গুলি ছুড়ে, সিউলের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এই প্রথমবারের মতো রাশিয়ার একটি সামরিক বিমান দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে বলে মন্ত্রণালয়টির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
অপরদিকে কোনো আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ নাকচ করে দক্ষিণ কোরিয়ার পাইলটদের বিরুদ্ধে বেপরোয়া বিমান চালনার অভিযোগ এনেছে রাশিয়া, জানিয়েছে বিবিসি।
আন্তর্জাতিক জলসীমার ওপর তারা একটি পরিকল্পিত অনুশীলন চালাচ্ছিল বলে দাবি করেছে রাশিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বিমানগুলো রাশিয়ার বোমারু বিমানগুলোর পথ অতিক্রম করে কিন্তু তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে বলে খবর আরআইএ-র।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে রাশিয়ার তিনটি ও চীনের দুটি সামরিক বিমান একত্রে কোরিয়ার এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনে (কেএডিআইজেড) প্রবেশ করেছিল। সেখানে প্রবেশের আগে বিদেশি আকাশযানগুলোকে আগেভাগেই তাদের পরিচয় জানাতে হয় বলে দাবি করেছে তারা।
তারা আরও জানায়, রাশিয়ার পৃথক একটি আগাম সতর্কতা ও নিয়ন্ত্রণ বিমান (এ-৫০) সকাল ৯টার (স্থানীয় সময়) পর দুইবার দোকদো দ্বীপের ওপরে দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে। দক্ষিণ কোরিয়ার দখলে থাকা এই দ্বীপটির মালিকানা জাপানও দাবি করে আসছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের (জেসিএস) এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানাতে দক্ষিণ কোরিয়ার এফ-১৫ ও এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলো সেদিকে ছুটে যায়।
এ ঘটনার সময় দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবিমানগুলো প্রায় ৩৬০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে বলে জানিয়েছেন তিনি।
“ফ্লেয়ার নিক্ষেপ করা ও সতর্কতামূলক গুলি ছোড়ার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী কৌশলগত পদক্ষেপ নেয়,” বলেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
রাশিয়ার বিমানগুলো কোনো আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখায়নি বলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
তখন রাশিয়ার বিমানগুলো সেখান থেকে চলে যায়, কিন্তু প্রায় ২০ মিনিট পর আবার ফিরে আসে; তখন দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবিমানগুলো ফের সতর্ক করে গুলি ছুড়ে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন তাদের আকাশসীমা নয় এবং সেখানে সব দেশের বিমানই স্বাধীনভাবে চলাচলের অধিকার রাখে।