মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের দ্বিতীয় বৈঠকের বিষয়টি স্থির করতে চোল শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে বৈঠক করবেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেন তিনি।
কিম ইয়ং চোল উত্তর কোরিয়ার নেতার ডান-হাত। তিনি একজন নেতৃস্থানীয় আলোচক এবং সাবেক গোয়েন্দা প্রধান।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, চোল বেইজিং হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। নেতা কিম জং-উনের কাছ থেকে ট্রাম্পের জন্য আরেকটি চিঠি নিয়ে গেছেন তিনি।
ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের দ্বিতীয় বৈঠকটি ভিয়েতনামে হতে পারে বলে জল্পনা বাড়ছে।
ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের প্রথম বৈঠকটি হয়েছিল গতবছর ১২ জুনে। ওই বৈঠকে কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম। তবে এখন পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্র নির্মূলে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।
প্রথম ওই বৈঠকের আগেও যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন উত্তর কোরীয় দূত কিম ইয়ং চোল। সেবারও নেতা কিমের কাছ থেকে চিঠি নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপরই ১২ জুনের ওই বৈঠকের দ্বার খোলে।
পরে ওই বছরই নভেম্বরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও দ্বিতীয় ট্রাম্প-কিম বৈঠক নিয়ে আলোচনার জন্য উত্তর কোরিয়া সফর করতে চাইলেও তা আর হয়নি। উত্তর কোরিয়া নিরস্ত্রীকরণে যথেষ্ট অগ্রগতি দেখায়নি বলে ট্রাম্পের অভিযোগের কারণে পম্পেওর ওই সফর বাতিল হয়।
এরপর নতুন বছরের এক শুভেচ্ছা বার্তায় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন আবারো ট্রাম্পের সঙ্গে যে কোনো সময় আলোচনায় বসার ইচ্ছার কথা জানানোয় দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠানের পট প্রস্তুত হয়েছে।
উত্তর কোরীয় কর্মকর্তা চোলের ওয়াশিংটন সফরকালেই ট্রাম্প-কিম দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠানের ঘোষণা আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
চোলের এ যুক্তরাষ্ট্র সফরের একই সময়ে উত্তর কোরিয়ার আরেক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোয়ে সোন-হুই সুইডেন যাচ্ছেন। সেখানে তিনি ওয়াশিংটনের পিয়ংইয়ং বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি স্টিফেন বিয়েগনের সঙ্গে দেখা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।