গেল বছর বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়েছে ‘১৩ গুণ’

আগের বছরের তুলনায় ২০১৮ সালে বিমান দুর্ঘটনা ও এতে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে, তারপরও বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বছরটি ছিল ‘নবম নিরাপদ বছর’।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Jan 2019, 07:37 AM
Updated : 2 Jan 2019, 08:01 AM

বিমান নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা অ্যাভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্কের (এএসএন) তথ্য-উপাত্তের বরাত দিয়ে এমনটিই জানিয়েছে বিবিসি।

এএসএন বলছে, ২০১৭ সালে বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৪। আর গতবছর মারা পড়েছেন ৫৫৬ জন, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৩ গুণ বেশি।

যাত্রীবাহী কোনো বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় না পড়ায় ২০১৭ কে বিমান যাতায়াতের ইতিহাসে সবচেয়ে নিরাপদ বছর হিসেবে অভিহিত করা হয়।

২০১৮ সালের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে অক্টোবরে। ওই দুর্ঘটনায় জাভা সাগরে বিধ্বস্ত লায়ন এয়ারের একটি ফ্লাইটের ১৮৯ আরোহী প্রাণ হারিয়েছিলেন। ইন্দোনেশিয়ায় বোয়িংয়ের এ ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানটি ছাড়াও গত বছর জুলাইয়ে কিউবায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে ইরানের জাগরোস পর্বতে বিমান বিধ্বস্ত জয়ে ৬৬ এবং পরের মাসেই নেপালের কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় ৫১ আরোহী নিহত হয়। 

আগের বছরের তুলনায় ২০১৮ সালে দুর্ঘটনা ও হতাহতের পরিমাণ বেশি হলেও অ্যাভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্ক বলছে, গত দুই দশকে বিমান যাতায়াতে নিরাপত্তা ঝুঁকির পরিমাণ অনেক কমেছে।

“যদি ১০ বছর আগের হার বহাল থাকত, তাহলে গত বছর ৩৯টি প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার দেখা মিলত। আর যদি ২০০০ সালের হার থাকত, তাহলে দুর্ঘটনা হত ৬৪টি। গত দুই দশকে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যে বিরাট অগ্রগতি হয়েছে, এসবই তার প্রমাণ,” বলেছেন এএসএনের প্রধান নির্বাহী হ্যারো রেনটের। 

গত ৫ বছরে ঘটা ২৫টি ভয়াবহ দুর্ঘটনার ১০টিই ‘নিয়ন্ত্রণ হারানোর’ কারণে হয়েছে জানিয়ে একে বিমান কোম্পানিগুলোর জন্য ‘বড় ধরনের নিরাপত্তা উদ্বেগ’ হিসেবেও চিহ্নিত করেছে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক এএসএন।

বিমানের নির্দিষ্ট যাত্রাপথে অপুনরুদ্ধারযোগ্য বিচ্যুতির ফলে এ ‘নিয়ন্ত্রণ হারানোর’ ঘটনা ঘটে। যান্ত্রিক ত্রুটি, চালকের ভুল ও পরিবেশজনিত কারণে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে থাকে। এসবের ফলে যে দুর্ঘটনাগুলো হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাতে কাউকে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা থাকে না বলে ভাষ্য এএসএনের।