শনিবারের ওই ঘটনায় ট্রিবিউন পাবলিশিং কোম্পানির মালিকানাধীন শিকাগো ট্রিবিউন ও বাল্টিমোর সানও আক্রান্ত হয়েছে, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে সাইবার হামলাটি চালানো হয়েছে বলে পরিস্থিতি সম্পর্কে জ্ঞাত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস। সংবাদপত্রটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হামলার কারণে লস অ্যাঞ্জেলসের একটি শেয়ার্ড প্রডাকশন প্ল্যাটফর্ম থেকে মুদ্রিত দ্য টাইমস, ট্রিবিউন, সান ও অন্যান সংবাদপত্রের শনিবারের সংস্করণ বিতরণে দেরি হয়।
ওই একই শেয়ার্ড প্ল্যাটফর্ম থেকে মুদ্রিত ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও নিউ ইয়র্ক টাইমসের ওয়েস্ট কোস্ট সংস্করণও আক্রান্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছে লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস।
ট্রিবিউন পাবলিশিং, যাদের সংবাদপত্রগুলোর মধ্যে নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজ ও অরল্যান্ডো সেন্টিনলও আছে, জানিয়েছে তারা প্রথমে শুক্রবার ওই ম্যালওয়্যারটি সনাক্ত করেছিল।
ট্রিবিউন পাবলিশিংয়ের মুখপাত্র মারিসা কোলিয়াস জানিয়েছেন, ভাইরাসটি তাদের অধীনস্থ সব সংবাদপত্রের মুদ্রণ ও উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত ব্যাক-অফিস সিস্টেমে আঘাত হেনেছে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “ক্রেতাদের ক্রেডিক কার্ডের তথ্য ও ব্যক্তিগত সনাক্তকরণ তথ্যাদি খোয়া গেছে বলে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।”
ভাইরাসটি কোম্পানির বিজনেস সিস্টেম আক্রান্ত করে এর প্রকাশ করার ক্ষমতা থামিয়ে দেওয়ায় সান ডিয়াগো ইউনিয়ন-ট্রিবিউনের সাবস্ক্রাইবাররা শনিবার সংবাদপত্র ছাড়াই দিন কাটিয়েছেন বলে পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক জেফ লাইট তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছেন।
মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও নিউ ইয়র্ক টাইমস।
পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের এক মুখপাত্র।