যাদের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের একজন শীর্ষ উপদেষ্টাও আছেন। ওই ব্যক্তির নাম রিয়ং হায়ে চোয়ে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রণালয়।
অন্য দুইজন হলেন স্টেট সেক্রেটারি মিনিস্টার কিয়ং থায়েক জং এবং প্রচার ও তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান কেওয়াং হো পার্ক।
এ তিনজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র- উত্তর কোরিয়া পরমাণু কূটনীতির কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা পরিষ্কার জানা যায়নি।
উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কিম সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক সম্মেলন করেছিলেন। ওই সম্মেলনে উভয় নেতা নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণে অগ্রগতি খুব সামান্যই হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “বিশ্বের মধ্যে উত্তর কোরিয়ায় এখনো মানবাধিকারের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আধুনিক দাসপ্রথা, নিপীড়ন, কোনো অভিযোগ দায়ের ছাড়াই দীর্ঘমেয়াদে আটকে রাখা, ধর্ষণ, জোর করে গর্ভপাত এবং যৌন নৃশংসতার মত ঘটনা অনেক বেশি।”
যদিও উত্তর কোরিয়া বরাবরই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। বরং পিয়ংইয়েংর দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির জনগণ ভয়াবহ মানবিক সংকটে পড়েছে।
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং পরমাণু প্রকল্প নিয়ে বিরোধের জেরে ২০০৬ সালে উত্তর কোরিয়ার উপর অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
তারপর আরও কয়েক দফায় দেশটির উপর নানা ধরনের কঠোর থেকে কঠোরতর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন।
নতুন করে তিন শীর্ষ কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে পিয়ংইয়ং থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।