আগ্নেয়গিরির উদগিরণ সতকর্তা বাড়ালো ফিলিপিন্স

উত্থিত লাভা বিপর্যয়কর অগ্ন্যুৎপাতে পরিণত হতে পারে জানিয়ে মায়ন আগ্নেয়গিরির উদগিরণ সতকর্তা এক ধাপ বাড়িয়েছে ফিলিপিন্স।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2018, 08:13 AM
Updated : 15 Jan 2018, 09:30 AM

শনিবার আগ্নেয়গিরিটি থেকে উদগিরণ হওয়ার পর রোববার সকালে সতর্কতার মাত্রা বাড়ানো হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। পরে রোববার আরো একবার উদ্গিরণ হয়।

আলবে প্রদেশের প্রায় নিখুঁত কৌণিক আকৃতির মায়ন আগ্নেয়গিরি ফিলিপিন্সের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ। সতর্কতা জারির পর এর কাছাকাছি দুটি গ্রাম থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়।

শনিবারের উদগিরণে ছাই, পাথর ও সালফিউরিকের গন্ধ বের হয়, এরপর গর্জনের শব্দ ও জ্বালামুখে হালকা আলোর আভাস লক্ষ্য করা গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিপিন্সের ভলকানোলজি ও সিসমোলজি ইনস্টিটিউ (ফিভলক্স) ।

এই সংস্থাটিই সতর্কতার মাত্রা বাড়িয়ে দুই করেছে। এর অর্থ এখন আগ্নেয়গিরিটিতে যা চলছে তার ‘উৎস সম্ভবত ম্যাগমা, যা আরো প্রাথমিক উদগিরণের কারণ হতে পারে বা অবশেষে বিপর্যয়কর অগ্ন্যুৎপাতে রূপ নিতে পারে’ বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

রোববার দুপুরের আগে আগ্নেয়গিরিটি থেকে দ্বিতীয়বারের মতো ছাই উদগিরিত হয়, কিন্তু এর পরও নিজেদের বুলেটিনে ফিভলক্স সতর্কতার মাত্রা লেভেল-২ রাখার কথাই জানিয়েছে।

এক সতর্কবার্তায় ফিভলক্স বলেছে, “হঠাৎ বিস্ফোরণ, ধসে পড়া পাথর ও ভূমিধসের ঝুঁকি হ্রাস করতে লোকজনকে স্থায়ী বিপদজনক এলাকার ছয় কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে প্রবেশের বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ থাকার এবং প্রবেশ না করার জোরালো পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”

ছাই পড়ার অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়া লোকজনকে মাস্ক অথবা জেভা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখার পরামর্শ দিয়েছে ফিভলক্স। আগ্নেয়গিরিটির শিখরের কাছ দিয়ে বিমান চলাচল এড়ানোরও পরামর্শ দিয়েছে তারা।

আলবে প্রদেশের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা দপ্তরের প্রধান কেডরিক দায়েপ জানিয়েছেন, সতর্কতার মাত্রা এখনও সঙ্কটজনক পর্যায়ে যায়নি।

সতর্কতার মাত্রা লেভেল-৩ হলে তাকে তারা সঙ্কটজনক মাত্রা বলে বিবেচনা করেন বলে জানিয়েছেন তিনি।   

মায়ন আগ্নেয়গিরির ১৮৪১ সালের অগ্ন্যুৎপাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। ওই সময় লাভার স্রোতে একটি শহর চাপা পড়ে ১২০০ লোক নিহত হয়েছিল।

শেষবার ২০১৪ সালে আগ্নেয়গিরিটি থেকে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল। ওই সময় আগ্নেয়গিরিটি থেকে বের হয়ে আসা লাভার স্রোত কয়েক হাজার মানুষকে তাদের এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছিল।