কোভিড-১৯ আর ‘বিশ্ব জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা’ নয় বলে ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বিবিসি জানায়, শুক্রবার সংস্থাটির দেওয়া এই ঘোষণা বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারীর সমাপ্তি জানান দেওয়ার পথে বড় ধরনের পদক্ষেপ।
২০২০ সালে প্রথম কোভিডের জন্য ডব্লিউএইচও’র সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা জারির তিনবছর পর তা তুলে নেওয়ার এই ঘোষণা এল।
ডব্লিউএইচও-র ‘জরুরি অবস্থা’ কোভিড মহামারীর ওপর আন্তর্জাতিক অঙ্গনের মনোযোগ ধরে রাখার জন্য সহায়ক ছিল।
এ ‘জরুরি অবস্থা’ আরও জারি রাখা দরকার কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত বৃহস্পতিবারই বৈঠক করেছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল।
তার অনেক আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশ নিজস্বভাবে জারি করা কোভিড সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়া শুরু করেছে। এবার ডব্লিউএইচও’ও একই পথে হাঁটল।
সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, কোভিডে মৃত্যুর হার শীর্ষ পর্যায়ের এক লক্ষাধিক মানুষ থেকে সপ্তাহ প্রতি ৩ হাজার ৫শ’র কিছু বেশিতে নেমে এসেছে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে গত ২৪ এপ্রিল সময়ের মধ্যে।
ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেছেন, মহামারীতে অন্তত ৭০ লাখ মানুষ মারা গেছে। তবে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ২ কোটির কাছাকাছি হতে পারে বলে জানান তিনি, যা সরকারি হিসাবে প্রায় তিনগুন।
ভাইরাসটি আর জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা না হলেও বিপদ শেষ হয়ে যায়নি। করোনাভাইরাস এখনও গুরুতর হুমকি হয়ে আছে বলে গেব্রিয়েসুস সতর্ক করে দিয়েছেন।
ডব্লিউএইচও জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়াকে এই মহামারী মোকাবেলায় বিশ্বের অগ্রগতির লক্ষণ বলে বর্ণনা করেছে।
গেব্রিয়েসুস বলেছেন, “গতকাল (বৃহস্পতিবার) জরুরি কমিটি ১৫ বারের মতো বৈঠকে বসেছে এবং বিশ্বে জারি থাকা জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার জন্য আমার কাছে সুপারিশ করেছে। আমি সেই পরামর্শ মেনে নিয়েছি। অতঃপর আমি কোভিড-১৯ এ বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থার সমাপ্তি ঘোষণা করেছি।”
জরুরি অবস্থা উঠে যাওয়ার ফলে খারাপ যা কিছু ঘটতে পারে সে সম্পর্কে আভাস দিয়ে তিনি বলেন, কোনও দেশ হয়ত এখন ভাইরাসটি নিয়ে কম সতর্ক হয়ে পড়তে পারে কিংবা জনগণকে এমন বার্তা দিতে পারে যে কোভিড-১৯ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।