ইমরানকে ‘বিস্ময়কর পরিত্রাণ’ দেওয়ার সমালোচনায় শাহবাজ শরিফ

ইমরান খানকে সুপ্রিম কোর্টের ‘আদরের দুলাল’ আখ্যা দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগের দ্বিমুখী নীতি পাকিস্তানের ন্যায়বিচারের মৃত্যু ডেকে এনেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 May 2023, 03:57 PM
Updated : 12 May 2023, 03:57 PM

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের প্রতি বিচার বিভাগের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

দুর্নীতির মামলায় ইমরান খানকে ‘বিস্ময়রক পরিত্রাণ’ দেওয়া এবং বিচার বিভাগের ‘দ্বিমুখী নীতি’র সমালোচনা করেছেন তিনি।

ইমরান খানকে সুপ্রিম কোর্টের ‘আদরের দুলাল’ আখ্যা দিয়ে শাহবাজ বলেন, বিচার বিভাগের দ্বিমুখী নীতি পাকিস্তানের ন্যায়বিচারের মৃত্যু ডেকে এনেছে।

পিটিআই চেয়ারম্যানকে লোহার ঢালের মতো সুরক্ষা দেওয়ার জন্য শাহবাজ বিচার বিভাগের নিন্দা জানান এবং বলেন, জোট সরকার পাকিস্তানে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে সব পদক্ষেপ নেবে।

রাজধানী ইসলামাবাদে শুক্রবার মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের ভাষণে শাহবাজ এই সমালোচনা করেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের জিও নিউজ।

পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার এক আদেশে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পদক্ষেপকে বেআইনি’ ঘোষণা করে।

গত মঙ্গলবার আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরানকে নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তার করেছিল পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো-এনএবি। এই গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।

বুধবার ইমরানকে ইসলামাবাদের পুলিশ লাইনসে স্থাপন করা একটি অস্থায়ী আদালতে তোলা হয়েছিল। সেখানে এনএবি ইমরানের ১৪ দিনের জন্য রিমান্ডে চেয়েছিল। পরে আদালত আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

রিমান্ডে পাঠানোর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ইমরানকে গ্রেপ্তারের পদক্ষেপ অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তিনি ছাড়া পান। ইমরানের জন্য এ রায় ছিল এক বড় ধরনের স্বস্তি।

এরপরই তীব্র সমালোচনার মধ্য দিয়ে এর প্রতিক্রিয়া জানালেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ। তার কথায়, সুপ্রিম কোর্টের এ আদেশের বিষয়টি আর কিছুই নয়, এটি জাতীয় পুনরেকত্রীকরণ অধ্যাদেশ (এনআরও)।

দেশের অন্যান্য রাজনীতিবিদদের প্রতি বিচার বিভাগের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শাহবাজ। বলেছেন, মিথ্যা অনেক মামলায় রাজনীতিবিদদেরকে জেলে পাঠানো হয়েছে। কোনও আদালত কি কখনও সেগুলো আদৌ লক্ষ্য করেছে?

ন্যাশনাল একাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) মামলার ইতিহাস সম্পর্কে মন্তব্য করে শাহবাজ বলেন, দুর্নীতি বিরোধী এই প্রতিষ্ঠান কাউকেই ছাড় দেয়নি। শিল্প, শিক্ষা থেকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান- গোটা দেশকেই তারা বিষিয়ে তুলেছে।

“দেশের অন্যান্য রাজনীতিবিদরা বিচারের মুখোমুখি হয়েছে এবং তাদের ক্ষেত্রে কঠোর আচরণ করা হয়েছে, যেখানে ইমরান খানের জন্য সুবিধাজনক ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে এটিই দ্বিমুখী নীতি”, বলেন শাহবাজ।

তিনি আরও বলেন, “আপনারা (আদালত) যদি এই লাডলাকে (আদরের দুলাল) সুবিধা দিয়ে যান, তাহলে আপনাদের কারাগারে থাকা সব ডাকাতকেও মুক্তি দিতে হবে।”