ব্লিঙ্কেন আরব ও তুর্কি মিত্রদের সাথে একটি ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট প্রতিষ্ঠার জন্য মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন।
Published : 14 Dec 2024, 01:49 PM
বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের পুনরুত্থান ঠেকাতে অব্যাহত প্রচেষ্টা প্রয়োজন বলে একমত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান।
এছাড়া তুর্কি প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ব্লিঙ্কেন গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়েও আলোচনা করেছেন বলে ওয়াশিংটনের এক কূটনীতিকের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তা বলেন, যুদ্ধবিরতির পক্ষে হামাসের সাড়া দেওয়ার বিষয়টি ব্লিঙ্কেনের আলোচনায় স্থান পায়।
মার্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরব ও তুর্কি মিত্রদের সাথে একটি ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট প্রতিষ্ঠার জন্য মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন।
সোমবার তিনি বলেন, সিরিয়ায় আবারও ইসলামিক স্টেট নিজেদের পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য এই সময়টি ব্যবহার করার চেষ্টা করবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তা হতে না দেওয়ার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
সিরিয়ার বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মার্কিন জোটের প্রধান মিত্র এসডিএফ পরিচালিত হয় ওয়াইপিজি মিলিশিয়া দ্বারা। কুর্দিদের নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স মার্কিন জোটের সমর্থন পাচ্ছে। এই বাহিনীর নেতৃত্বে আছে পিপলস প্রোটেকশন গ্রুপ (ওয়াইপিজি)। তুরস্ক মনে করে, ওয়াইপিজি হলো কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সঙ্গে যুক্ত সংগঠন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী মার্কিন ওই কর্মকর্তা বলেন, “তুর্কি নেতারা ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে একমত হয়েছেন। এসডিএফের আটক আইএসআইএস যোদ্ধাদের বন্দী শিবিরগুলি সুরক্ষিত করা এবং গোষ্ঠীটির অবশিষ্টাংশের বিরুদ্ধে লড়াই করার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।”
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে তুর্কি সমর্থিত বাহিনী এসডিএফের কাছ থেকে উত্তরাঞ্চলীয় মানবিজ শহর দখল করে নেয়। পরে তারা ফোরাত নদীর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়।
সিরিয়ার বিরোধীপক্ষের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
ব্লিঙ্কেন বা ফিদান কেউই এই চুক্তির বিষয়ে কোনও উল্লেখ করেননি, তবে ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে থাকা মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, এটি আলোচনার কেন্দ্রে ছিল।
তবে সিরিয়া ও তুরস্কের কুর্দিদের মধ্যে বিস্তৃত উত্তেজনা নিরসনে আরও সময় লাগবে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, কুর্দি নিয়ন্ত্রিত কোবানি শহরে তুরস্ক বা তুর্কি সমর্থিত বাহিনীর যেকোনো পদক্ষেপের ওপর ওয়াশিংটন নিবিড়ভাবে নজর রাখছে।
ব্লিঙ্কনের সঙ্গে বৈঠকের পর ফিদান বলেন, “সিরিয়ায় তুরস্কের অগ্রাধিকার হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। সন্ত্রাসবাদ যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে এবং সেখানে ইসলামিক স্টেট ও পিকেকে'র আধিপত্য ঠেকানোই আমাদের মূল লক্ষ্য।
“এগুলো নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি, আমাদের সাধারণ উদ্বেগগুলো কী এবং আমাদের সাধারণ সমাধান কী হওয়া উচিত।”
শুক্রবার রাতে তুর্কি সম্প্রচারমাধ্যম এনটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফিদান ওয়াইপিজিকে নির্মূল করাকে তুরস্কের 'কৌশলগত লক্ষ্য' হিসেবে উল্লেখ করে ওই গোষ্ঠীর কমান্ডারদের সিরিয়া ত্যাগ করার আহ্বান জানান।
তিনি পশ্চিমাদের সমালোচনা করে বলেন, ইসলামিক স্টেট যোদ্ধাদের বন্দিশিবির সুরক্ষিত করতে তারা পিকেকে ব্যবহার করছে।