ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিমান বাহিনীর হালকা যুদ্ধবিমান তেজোস বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে পাইলট নিরাপদে বিমান থেকে বেরিয়ে এসেছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বিমান বাহিনী।
ভারতের বিমানবাহিনীতে তেজোস অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রায় ৮ বছর পর এটি বিধ্বস্ত হওয়ার এমন ঘটনা এটিই প্রথম। প্রশিক্ষণ চলাকালে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
ভারতের বিমানবাহিনীর এই সুপারসনিক যুদ্ধবিমানটি ২৩ বছর আগে প্রথম পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করা হয়েছিল। মঙ্গলবার এটি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এর নিরাপত্তার রেকর্ড ভঙ্গ হল বলে জানিয়েছেন বিমান বাহিনীর এক কর্মকর্তা।
ভারতের বিমানবাহিনী এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি তেজোস বিমান আজ প্রশিক্ষণ চলাকালে জয়সালমিরে দুর্ঘটনায় পড়েছে। পাইলট নিরাপদে বের হয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
বিমান বিধ্বস্তের কারণে কোনও প্রাণহানি ঘটেনি, সম্পত্তিরও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে, বিমানটি একটি একতলা ইটের বাড়ির উপর ভেঙে পড়েছে। যুদ্ধবিমানটি ভেঙে পড়তেই তাতে আগুন লাগে।
ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিওতে, বাড়িটি থেকে ঘন কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, গ্রামের এক মাঠে মাটিতে শুয়ে আছেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির পাইলট। তার সেবা শুশ্রুষা করছে স্থানীয় মানুষ।
রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা, হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল তৈরি করেছে এই তেজস যুদ্ধবিমান। আকাশপথে যুদ্ধ হোক কিংবা জাহাজ-বিরোধী অভিযান, বিভিন্ন ভূমিকায় ব্যবহার করা যায় এই যুদ্ধবিমান।
২০০৩ সালে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিমানটির নাম দেন 'তেজস'। সংস্কৃতে এই শব্দের মানে ‘উজ্জ্বল’। এটি এইচএএল দিয়ে তৈরি দ্বিতীয় সুপারসনিক ফাইটার জেট।