রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে দেশে যুদ্ধ চলছে। এ অবস্থায় দেশের হয়ে যুদ্ধ করতে কঙ্গো ছেড়েছেন ২৫০ জন ইউক্রেইনীয় সেনা। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী হিসেবে তারা কঙ্গোতে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে রুশ বাহিনী ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরু করে। তারপর থেকে ইউক্রেইন সরকার জাতিসংঘের আরো কয়েকটি শান্তিরক্ষা মিশন থেকে তাদের সেনাদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
গত মার্চে ইউক্রেইন সরকার ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো থেকে তাদের এভিয়েশন ইউনিট (বিমান বাহিনী) প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। তখনই কূটনীতিকরা সতর্ক করে বলেছিলেন, ইউক্রেইনের এভিয়েশন ইউনিট চলে গেলে কঙ্গোতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে। বিশেষ করে হেলিকপ্টারের অভাবে পড়তে হবে।
কঙ্গোতে দায়িত্বরত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে ইউক্রেইনের আটটি হেলিকপ্টার কাজ করতো। যা মিশনের মোট হেলিকপ্টারের একতৃতীয়াংশ।
কঙ্গোতে দায়িত্বরত শান্তিরক্ষা বাহিনীর কমান্ডার ব্রাজিলের জেনারেল মার্কোস দি কস্তা বলেন, ‘‘গত ১০ বছর ধরে এখানে তাদের অপরিসীম অবদান দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছে।”
সোনা ও হীরাসহ নানা খনি সমৃদ্ধ কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে গত তিন দশক ধরে কয়েকটি সশস্ত্র জঙ্গিদল হত্যা, ধর্ষণ এবং ডাকাতির মত অপরাধ করে যাচ্ছে। নানা ভাবে চেষ্টা করেও সশস্ত্র ওইসব জঙ্গিদলগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। ফলে আগে থেকেই কঙ্গোয় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন সমালোচিত হচ্ছিল। এখন চাপ আরো বড়াবে।
২২ বছরের বেশি সময় ধরে কঙ্গোতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন চলছে। বিশ্বজুড়ে যে ১২টি অঞ্চলে বর্তমানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন চলছে কঙ্গোরটি সেগুলোর মধ্যে অন্যতম বৃহৎ এবং ব্যয়বহুল মিশন। যেটি বন্ধ করে দেওয়ার চিন্তা ভাবনা চলছে। তবে কবে নাগাদ বন্ধ হতে পারে সে তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।