গাজার হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় এই বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
Published : 06 Nov 2023, 08:10 PM
ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে অবরুদ্ধ গাজা। গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় মানুষের প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২২ জনে। গাজার হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মৃতের সংখ্যার এ হিসাব দিয়েছে।
রোববার রাতভর ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ভারি বোমা হামলায় গাজায় প্রায় ২০০ মানুষ নিহত হওয়ার খবর বিবিসি’র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সেখানকার আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক। তিনি বলেন, হতাহতরা হাসপাতালে পৌঁছেছে ভ্যানে করে কিংবা গাধার পিঠে চড়ে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার কারণে গাজার মানুষ অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাচ্ছে না।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের সেনারা গাজায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের একটি ফাঁড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। আর এখন তারা গাজাকে কার্যত দুইভাগে ভাগ করে ফেলেছে।
জাতিসংঘের বড় বড় সব সংস্থাগুলো এরই মধ্যে এক বিরল যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, “যথেষ্ট হয়েছে। এবার যুদ্ধ বন্ধ হোক।” জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর একটি গোষ্ঠী বলেছে, গাজায় সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করাটা একটি অপরাধ।
গাজায় নিহতদের মধ্যে হাজার হাজার শিশু আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সেখানে এখন পর্যন্ত যুদ্ধে হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনি নিহতের যে সংখ্যা প্রকাশ করেছে, তা কতটা সঠিক সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কিছু রাজনীতিবিদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অবশ্য বলছে,তারা মনে করে মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এই মৃতের সংখ্যা বিশ্বাসযোগ্য।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের অতর্কিত হামলার পর থেকেই গাজায় ইসরায়েলের প্রতিশোধ হামলা চলছে। এ যুদ্ধে গাজায় হামাসকে নির্মূলের অঙ্গীকার করেছেনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। নিহতদের বেশিরভাগই সাধারণ ফিলিস্তিনি।