ছবিতে দেখা যায়, পৃথিবীর সঙ্গে নিজের কিছু অংশ রেখে একটি সেলফি তুলেছে নোভা সি ল্যান্ডারটি, যার ডাকনাম ‘ওডেসিয়াস’। এমনকি কিছুটা দূরে ফ্যালকন ৯ রকেটের বিচ্ছিন্ন হওয়া দ্বিতীয় ধাপও দেখা গেছে একটি ছবিতে।

ছবিটি তোলা হয়েছে যখন চাঁদে রাত নেমে আসছিল। একটি চাঁদের রাত পৃথিবীর দুই সপ্তাহের সমান এবং সে সময়ে তাপমাত্রা মাইনাস ১৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে যায়।

স্থানচ্যুতির কারণে মুন ল্যান্ডারটির সৌর প্যানেলগুলো পশ্চিম মুখী হয়ে যায়। ফলে, তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারেনি এটি।

সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোলে উৎক্ষেপণের ১৫ দিনের মধ্যেই পৃথিবী থেকে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করত পেরেগ্রিন।

এ ছাড়া, ‘আইরিস লুনার’ নামের একটি রোভারযানও বহন করা হচ্ছে পেরেগ্রিন মিশনটিতে, যা বানিয়েছেন কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। আর এর প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল, চাঁদের পৃষ্ঠে গিয়ে ছবি তোলা।

পেরেগ্রিন মিশনে একটি কার্গোও বহন করা হচ্ছে, যেখানে মানব শরীরের অবশিষ্টাংশের পাশাপাশি জন এফ কেনেডি’সহ বেশ কয়েকজন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের ডিএনএ রয়েছে।

চাঁদের প্রতি নাসার এমন আগ্রহ আসলে আর্টেমিস মিশনের প্রস্তুতির অংশ। মিশনটি সফল হলে সামনের বছরই চাঁদের পৃষ্ঠে মানুষের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।

স্পেসএক্স-এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে কোম্পানিটির পেছনে শত কোটি ডলারের বেশি আর্থিক বিনিয়োগ করেছেন অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা বেজস।