যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা

ছবি: রয়টার্স

বিনিয়োগকারীদের ঠকিয়ে ক্রিপ্টো খাতে একশ কোটি ডলারের বেশি আর্থিক লোকসানের অভিযোগে ক্রিপ্টো কোম্পানি জেমিনাই, জেনেসিস ও ডিজিটাল কারেন্সি গ্রুপের (ডিসিজি) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল।

বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কের আদালতে দায়ের করা মামলায় অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস বলেন, এমন জালিয়াতির প্রভাব পড়েছে দুই লাখ ৩০ হাজার বিনিয়োগকারীর ওপর।

মামলায় মূল লক্ষ্যবস্তু বানানো হয় ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ জেমিনাইকে, যেটির মালিক ক্যামেরন ও টাইলার উইংকলভস এবং পরামর্শক কোম্পানি ‘আর্ন প্রোগ্রাম’।

প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘জেমিনাই আর্ন’কে উচ্চস্তরের প্রকল্প হিসেবে প্রচার করেছে কোম্পানিটি, যা ডিজিসি মালিকানাধীন ‘জেনেসিস গ্লোবাল ক্যাপিটাল’-এর গ্রাহকদেরকে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করেছিল। জেমসের অভিযোগ, জেনেসিসে বিনিয়োগ করা যে ঝুঁকিপূর্ণ সেটি জানার পরও গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করেছে জেমিনাই।

গত বছরের নভেম্বরে এফটিসি ধসের পরপরই আর্ন প্রোগ্রাম থেকে অর্থ তোলার ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয় জেমিনাই। ফলে, গ্রাহকরা নিজেদের তহবিলে প্রবেশ করতে পারেননি। সেপ্টেম্বরে মার্কিন পত্রিকা নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে উঠে আসে, জেনেসিস ধসের আগেই ২৮ কোটি ডলার তুলে নেন উইংকলভস ভাতৃদ্বয়।

পাশাপাশি, একশ কোটি ডলারের বেশি লোকসান লুকিয়ে রাখার অভিযোগে জেনেসিস ও ডিসিজি’র মালিক কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করছেন জেমস। এ ছাড়া, নিউ ইয়র্কের পুঁজিবাজারে এই তিন কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাও দাবি করেন তিনি।

জেমস আরও দাবি করেন, এই জালিয়াতি প্রকল্পের ‘আর্থিক ক্ষতিপূরণ’ দিতে হবে ক্রিপ্টো কোম্পানিগুলোকে।

“এইসব কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সত্য লুকিয়ে শত কোটি ডলার লোকসানের মুখ দেখেছে। এর ফলে, মধ্যবিত্ত বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে বেশি ভুগেছেন।” --বিবৃতিতে বলেন জেমস।

“জেমিনাই আর্নে বিনিয়োগ করা অর্থ সুরক্ষিত ও এটি বাড়তে থাকবে, এই ধরনের মিথ্যাচারে একশ কোটি ডলারের বেশি অর্থ হারিয়েছেন নিউ ইয়র্ক ও গোটা দেশের পরিশ্রমী বিনিয়োগকারীরা।”

জেমিনাই ও জেনেসিসের বিরুদ্ধে আগেও আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার উদাহরণ রয়েছে। গত বছর গ্রাহকদের ক্রিপ্টো সম্পদ থেকে তিন কোটি ৬০ লাখ ডলার সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে জেমিনাইর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন এক বিনিয়োগকারী। এমনকি অনিবন্ধিত জামানত রাখার অভিযোগে জানুয়ারিতে জেমিনাই ও জেনেসিস উভয় কোম্পানির বিরুদ্ধেই মামলা করেছে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি।