বাহামা দ্বীপপুঞ্জে গ্রেপ্তার সাবেক এফটিএক্স প্রধান

ইলন মাস্ক দাবি করেছিলেন, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অর্থদাতা হওয়ায় ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রিডের বিরুদ্ধে কোনো তদন্তই করবে না কর্তৃপক্ষ।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2022, 12:04 PM
Updated : 13 Dec 2022, 12:04 PM

সম্প্রতি দেউলিয়া ঘোষিত ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ এফটিএক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান স্যাম ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রিডকে বাহামা দ্বীপপুঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রিডকে গ্রেপ্তারে খবর নিশ্চিত করে ক্যারিবীয় দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, মঙ্গলবারই তাকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও বাহামাসে প্রচলিত আইন লঙ্ঘনের কারণে ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রিডকে গ্রেপ্তার করার কথা বলছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

১১ নভেম্বর ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রিড সিইও’র পদ থেকে সরে আসার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে এফটিএক্স। এর ফলে এক্সচেঞ্জটি থেকে বিনিয়োগের অর্থ তুলতে পারেননি অনেক ক্রিপ্টো কারবারি।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদালতে শুনানি শেষে ভুক্তভোগীদের কতজন অর্থ ফেরত পাবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, সম্ভবত বিনিয়োগের সামান্যই ফেরত পাবেন তারা।

বিটকয়েনের মত ক্রিপ্টোমুদ্রার বিনিময়ে প্রচলিত অর্থ লেনদেনের সুযোগ দিত এফটিএক্স।

বাহামা দ্বীপপুঞ্জে স্যাম ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রিড গ্রেপ্তার হওয়ার খবর টুইট করে নিশ্চিত করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষও। অন্যদিকে, ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রিডের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন ওয়াল স্ট্রিটের নিয়ন্ত্রকরা।

বিবিসি জানিয়েছে, ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রিডের আইনজীবীর মন্তব্য জানতে চেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া পায়নি তারা।

২০১৯ সালে ক্রিপ্টো একচেঞ্জ ‘এফটিএক্স ডটকম’ প্রতিষ্ঠা করেন ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রিড। দৈনিক এক হাজার কোটি ডলার লেনদেন করে খুব অল্প সময়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ হিসেবে অবস্থান গড়ে নিয়েছিল প্ল্যাটফর্মটি।

বিবিসি লিখেছে, এক সময় ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রিডকে বিবেচনা করা হত মার্কিন ধনকুবের ওয়ারেন বাফেটের ‘কনিষ্ঠ সংস্করণ’ হিসেবে। অক্টোবর মাসেও তার সম্পদের আকার দেড় হাজার কোটি ডলার ছিল বলে ধারণা করতেন সংশ্লিষ্টরা।

রাজনৈতিক দলে অনুদান দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে দেওয়া বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে কোম্পানির ভুলের কথা স্বীকার করলেও, অবৈধ লেনদেনে অংশ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে গেছেন ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রিড।

নভেম্বরে নিউ ইয়র্ক টাইমসের ‘ডিলসবুক’ সম্মেলনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি কখনোই প্রতারণার চেষ্টা করিনি।”

অন্যদিকে, ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রিডের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পরপরই সে প্রসঙ্গে টুইট করে ভাইরাল হয়েছিলেন ‘চিফ টুইট’ ইলন মাস্ক।

১৩ নভেম্বরের এক টুইটের জবাবে মাস্ক দাবি করেছিলেন, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অর্থদাতা হওয়ায় ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রিডের বিরুদ্ধে কোনো তদন্তই করবে না কর্তৃপক্ষ।