চাঁদে ‘এসইউভি আকারের’ রোভার নিয়ে যাবে স্পেসএক্স

এতে একটি রোবটিক বাহু থাকবে। আর প্রতি ঘন্টায় এটি ২৪ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করতে পারবে। পাশাপাশি, এতে দুইজন নভোচারী বহন করা যাবে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 April 2023, 09:20 AM
Updated : 3 April 2023, 09:20 AM

মহাকাশে এখনও নিজেদের পরবর্তী প্রজন্মের রকেট স্টারশিপের উৎক্ষেপণ শুরু না করলেও এরইমধ্যে রকেটটির চন্দ্রযাত্রার উদ্দেশ্যে বুকিং নিতে শুরু করেছে স্পেসএক্স। আর সম্ভাব্য ওই অভিযানে রকেটে চেপে বসতে পারে একটি ‘এসইউভি আকারের রোভার’ মহাকাশযানও।

শুক্রবার স্টার্টআপ কোম্পানি ‘অ্যাস্ট্রোল্যাব’ জানিয়েছে, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে একটি যাত্রিবিহীন স্টারশিপ কার্গো মিশন পরিচালনার উদ্দেশ্যে সম্প্রতি তারা ইলন মাস্কের রকেট কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে।

“চন্দ্রপৃষ্ঠের উদ্দেশ্যে স্পেসএক্সের প্রথম বাণিজ্যিক কার্গো চুক্তি এটি।” --মার্কিন বাণিজ্য প্রকাশনা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেন অ্যাস্ট্রোল্যাব সিইও জ্যারেট ম্যাথিউস। তিনি আরও যোগ করেন, এই মহাকাশযাত্রায় থাকা কিছু সংখ্যক গ্রাহকের একটি হলো তার কোম্পানি।

অ্যাস্ট্রোল্যাব এমন এক মহাকাশযান তৈরি করছে, তাদের ভাষ্যমতে যা একদিন  গোটা চন্দ্রপৃষ্ঠজুড়ে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল ও মানুষ বহন করবে। ‘ফ্লেক্সিবল লজিস্টিক্স অ্যান্ড এক্সপ্লোরেশন (ফ্লেক্স)’ নামের ওই রোভার যানের আকার প্রায় একটি ‘জিপ র‍্যাঙ্গলার’ গাড়ির সমান, এমনকি মঙ্গলগ্রহে অবস্থান করা নাসার ‘পারসিভারেন্স’ রোভারের চেয়েও আকারে কিছুটা বড়।

কার্গোকে সহায়তার উদ্দেশ্যে এতে একটি রোবটিক বাহু থাকবে। আর প্রতি ঘন্টায় এটি ২৪ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করতে পারবে। পাশাপাশি, এতে দুইজন নভোচারী বহন করা যাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।

অ্যাস্ট্রোল্যাবের দাবি, একবার চাঁদে অবতরণের পর ফ্লেক্স চন্দ্রপৃষ্ঠে ভ্রমণ করা সবচেয়ে বড় রোভার হয়ে উঠবে। টাইমসকে ম্যাথিউস বলেন, ২০২৬ সালের স্টারশিপ মিশনে রোভারটি ব্যবহার করে কার্গো বহনের উদ্দেশ্যে অ্যাস্ট্রোল্যাব গ্রাহকরা এরইমধ্যে অপেক্ষায় আছেন।

এই মহাকাশযানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ম্যাথিউস বলেন, চাঁদ ও এর দূরবর্তী জায়গাগুলোতে মানুষের স্থায়ী বসতি নির্মাণে সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে ফ্লেক্স।

“আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো, চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহে রোভারের বহর থাকা।” --বলেন তিনি।

“আর আমি সত্যিই মনে করি এইসব মহাকাশযান শেষ পর্যন্ত বহির্বিশ্বের অর্থনীতির অনুঘটক হিসাবে কাজ করবে।”