স্টারশিপের তৃতীয় উৎক্ষেপণে প্রস্তুত স্পেসএক্স, চলছে ক্ষণ গণনা

স্টারশিপের প্রথম দুই উৎক্ষেপণ প্রচেষ্টায় মিশন নিয়ে কোম্পানির লক্ষ্যমাত্রার কিছু অংশ অর্জিত হলেও উভয় ক্ষেত্রেই রকেটের সমাপ্তি ঘটেছে বিস্ফোরণের মাধ্যমে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2024, 11:39 AM
Updated : 14 March 2024, 11:39 AM

ইলন মাস্ক মালিকানাধীন রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স’কে তাদের সবচেয়ে বড় রকেট ‘স্টারশিপ সুপার হেভি’র তৃতীয় উৎক্ষেপণ পরিচালনার লাইসেন্স দিয়েছে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)’।

স্পেসএক্স বলছে, ১৪ মার্চ পূর্বাঞ্চলীয় সময় সকাল আটটায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায়) উৎক্ষেপিত হতে পারে রকেটটি। পরে সেটি বাংলাদেশ স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে পেছানো হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে এফএএ বলেছে, এ উৎক্ষেপণের জন্য নিরাপত্তাজনিত, পরিবেশগত, নীতিগত ও আর্থিক সকল ধরনের শর্তই পূরণ করেছে স্পেসএক্স।

এদিকে, স্টারশিপের প্রথম দুই উৎক্ষেপণ প্রচেষ্টায় মিশন নিয়ে কোম্পানির লক্ষ্যমাত্রার কিছু অংশ অর্জিত হলেও উভয় ক্ষেত্রেই রকেটের সমাপ্তি ঘটেছে বিস্ফোরণের মাধ্যমে।

এর মধ্যে প্রথম উৎক্ষেপণে কেবল এর লঞ্চপ্যাডই বড় ক্ষতির মুখে পড়েনি, বরং ‘লঞ্চ প্যাড থেকে দুই হাজার ছয়শ ৮০ ফুট দূরে অবস্থিত ৩৮৫ একরের একটি মাঠেও রকেটের ধ্বংসাবশেষ আছড়ে পড়ে। এতে করে পুরো মাঠেই আগুন ধরে যায়’।

বসন্তে দ্বিতীয় উৎক্ষেপণের সময় রকেটের প্রোপেলান্ট ছিদ্র হয়ে যাওয়ার মতো ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে প্রথম উৎক্ষেপণের পরপরই স্পেসএক্স’কে ৬৩টি শর্ত পূরণের একটি তালিকা পাঠিয়েছিল এফএএ।

স্পেসএক্স বলছে, তৃতীয় উৎক্ষেপণ প্রচেষ্টায় রকেটের অবতরণের জায়গা ঠিক করা হয়েছে ভারতীয় মহাসাগরে। এর আগের দুই প্রচেষ্টায় অবতরণের জায়গা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছিল হাওয়াই দ্বীপপূঞ্জের কাছাকাছি কোনও এক স্থান। আর আকাশের ইঞ্জিন পুড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ‘জননিরাপত্তার মাত্রা বাড়ানোকে’ এ পরিবর্তনের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে স্পেসএক্স।