যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে এবারের আয়োজিত ‘সিইএস’ প্রযুক্তি মেলার ‘কি নোটে’ মূল আকর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে বিভিন্ন কৃষি-ভিত্তিক পণ্য।
আর আয়োজনের ৫৬ বছরের ইতিহাসে এর প্রথম থিম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘হিউম্যান সিকিউরিটি ফর অল’।
বৃহস্পতিবার, আয়োজনের উদ্বোধনী বক্তব্যে ক্ষুধার্থ বিশ্বে খাদ্য যোগানে প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন কৃষি পণ্য উৎপাদক কোম্পানি ‘জন ডিয়ারে’র প্রধান নির্বাহী জন মে। এর কারণ হিসেবে বিভিন্ন আবাদযোগ্য জমি ও গ্রামীণ অঞ্চলে কর্মশক্তি কমে আসার ফলে খরচ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
“কৃষকদেরকে অল্পের মধ্যেই বেশি ফসল উৎপাদনের সুযোগ দেয় প্রযুক্তি।” --আয়োজনে উপস্থিত দুই হাজার দর্শকের উদ্দেশ্যে বলেন মে।
বিশ্বের সবচেয়ে জটিল সমস্যাগুলো মোকাবেলায় প্রযুক্তি খাতকে উৎসাহ দিতে বৈজ্ঞানিক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড একাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স’ ও জাতিসংঘের ‘ট্রাস্ট ফান্ড ফর হিউম্যান সিকিউরিটি’র সঙ্গে জোট বাঁধছে কোম্পানিটি।
“এটিই পরবর্তী বড় ধারণা।” --বলেন ইলেকট্রনিক পণ্য বিক্রেতা কোম্পানি ‘লিসনআপ’-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা ওয়াল্ট স্টিনসন। এর পাশাপাশি, তিনি কোম্পানিটির সঙ্গে একটি সম্ভাব্য অংশীদারিত্বের ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উদ্ভাবন কীভাবে সাহায্য করে, আয়োজনে ওই বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছু সংখ্যক প্যানেল আলোচনা করেছে। আর প্রযুক্তির সহায়তায় টেকসই খাদ্য সরবরাহ তৈরি ও বৈশ্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার ঘাটতি পূরণের মতো বিষয়াদি নিয়ে কথা বলেন নকিয়া, সিমেন্স ও গুগলের মুখপাত্ররা।
খাদ্য বিষয়ক সংস্থা ‘ফোর্স ফর গুড ফাউন্ডেশন’ প্রধান কেতন পাটেল বলেন, মানুষের পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজ করলে, তা শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়। এ ছাড়া, তিনি দীর্ঘ সময় মার্কিন বিনিয়োগ কোম্পানি ‘গোল্ডম্যান স্যাকসে’র ব্যাংকার হিসেবেও কাজ করেছেন।
“আপনি প্রতিটি প্রযুক্তি কোম্পানির উদ্দেশ্য যোগ করলে খুঁজে পাবেন, হঠাৎ করেই আপনার একটি নৈতিক উদ্দেশ্য তৈরি হয়েছে। সেটি হলো, আপনার কাছে এমন কিছু আছে, যা ব্যপক লাভজনক হতে পারে।” --বলেন পাটেল।
“কারণ আপনার প্রযুক্তি এমন এক শ্রেণির গ্রাহকের কাছে পৌঁছেছে, যা (এর আগে) লাভজনক ছিল না।”
অর্থনৈতিক সকল খাতে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এইসব ‘সিইএস সেশন’ কোম্পানির ‘রোলিং থান্ডার’ প্রচারণার প্রথম ধাপ। --বলেন ‘হিউম্যান ফর অল’ প্রচারণা কার্যক্রমের নির্বাহী প্রধান গ্যারি জ্যাকবস। আসন্ন মাসগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে আলোচনার পরিকল্পনা করছে দলটি।
“এইসব চ্যালেঞ্জ কেবল রাষ্ট্র বা বহুপাক্ষিক সংস্থার মাধ্যমে মোকাবেলা সম্ভব নয়।” --বলেন জ্যাকবস।
“এর বিভিন্ন অংশে বৈশ্বিক সমাজের সহযোগিতা প্রয়োজন।”