আন্তর্জাতিক ক্রিপ্টো নীতিমালা আনার বিবেচনায় জি-২০

অক্টোবরে ‘কঠোর’ আন্তর্জাতিক ক্রিপ্টো নীতিমালার প্রস্তাব আনছে ‘দ্য ফাইন্যান্সিয়াল বোর্ড (এফএসবি)’। অস্থিতিশীল বাজারটির সাম্প্রতিক উত্থান-পতনের পটভূমিতে নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলছে জি-২০ভুক্ত দেশগুলোর সদস্যদের পর্যবেক্ষক সংস্থাটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 July 2022, 11:49 AM
Updated : 11 July 2022, 11:49 AM

জি-২০ দেশগুলোর বাজার পর্যবেক্ষক, ট্রেজারি কর্মকর্তা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সংস্থাটি এখন পর্যন্ত ক্রিপ্টো খাতের ওপর নজর রাখার মধ্যেই নিজেদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রেখেছে।

তবে, সংস্থাটি এখনও ক্রিপ্টো খাত কোনো ‘পদ্ধতিগত ঝুঁকি’ সামনে আনছে না বলে মনে করে - এমন তথ্য উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।

সোমবারের ঘোষণায় এফএসবি বলেছে, ক্রিপ্টো বাজারের সাম্প্রতিক উত্থান-পতন এই খাতের অস্থিতিশীলতা, কাঠামোগত দুর্বলতা এবং সার্বিক আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সংশ্লিষ্টতার ওপর আলোকপাত করছে।

“বাজারের একজন অংশীদারের ব্যর্থতাই ক্রিপ্টো-সম্পদ ইকোসিস্টেমের অন্য অংশগুলোতে দ্রুত ঝুঁকি স্থানান্তর করতে পারে।”

গেল নভেম্বরে সবচেয়ে প্রভাবশালী ক্রিপ্টো মুদ্রা বিটকয়েনের দাম ৬৯ হাজার ডলার ছুঁলেও পরের মাসগুলোতে এর দাম কমেছে প্রায় ৭০ শতাংশ। সোমবারে বিটকয়েনের বাজারমূল্য ছিল ২০ হাজার ৪২২ ডলার।

বছরের শুরুতে ধসের মুখে পড়েছিল স্টেবলকয়েন টেরাইউএসডি। সেলসিয়াস নেটওয়ার্ক এবং ভয়েজার ডিজিটাল-এর মতো বড় ক্রিপ্টো প্ল্যাটফর্মগুলোর দুর্দিনের প্রভাব পড়েছে পুরো ক্রিপ্টো বাজারে।

স্টেবলকয়েন যদি লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তবে সেটি কঠোর নীতিমালা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত বলে মনে করছে এফএসবি।

“এফএসবি জি-২০-এর অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের অক্টোবরে স্টেবলকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টো সম্পদের নিয়ন্ত্রণ ও তদারকী কৌশল নিয়ে প্রতিবেদন দেবে,”-- বিবৃতিতে বলেছে এফএসবি।

এফএসবির হাতে আইন প্রণয়ণের ক্ষমতা না থাকলেও এর সদস্যরা নিজস্ব এখতিয়ারভুক্ত বাজারে সংস্থার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নীতিমালা গঠন ও প্রয়োগ করেন।

তবে, এক্ষেত্রে এফএসবি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের চেয়ে পিছিয়ে আছে বলে এ মাসেই ক্রিপ্টো বাজার নিয়ে নতুন নীতিমালা প্রণোয়নে একমত হয়েছে ইইউ-এর সদস্যরা।