বর্তমানে উড়ুক্কু ট্যাক্সির প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। বাস্তবে এই ট্যাক্সি আসতে এক দশক সময় লাগতে পারে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে ফোক্সভাগেন-এর স্পোর্টস গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
জানযটপূর্ণ শহুরে অঞ্চলের জন্য নতুন সমাধান আনতে উড়ুক্কু ট্যাক্সির ব্লুপ্রিন্ট তৈরির প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে পোর্শ, জেনেভা অটো শো-তে একথা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান মাইকেল স্টেইনার-- খবর রয়টার্স-এর।
এক সাক্ষাৎকারে স্টেইনার বলেন, “বর্তমানে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে ব্যক্তিগত গতিশীলতা কীভাবে বাড়ানো যায় সেটিই খুঁজছি আমরা এবং ভবিষ্যতে সবাই যাতে তাদের চাহিদামতো যাতায়াত করতে পারেন সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
উডুক্কু গাড়ির নকশার জন্য অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতে পারে পোর্শ। পরিবহন বাজারকে পরিবর্তন করতে প্রথাগত গাড়ি থেকে শুরু করে স্বচালিত গাড়িকে রাইড-হেইলিং অ্যাপের মাধ্যমে শেয়ার ব্যবস্থার আওতায় আনতে পারে প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি প্রথম পরীক্ষায় সফল হয়েছে এয়ারবাস-এর ‘ভাহানা’ নামের উড়ুক্কু ট্যাক্সি। চলতি বছর জানুয়ারি মাসের শেষদিকেই প্রথমবার আকাশে ওড়ে উডুক্কুযানটি। এবার এটির ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সর্বোচ্চ ১৬ ফুট উচ্চতায় মাত্র ৫৩ সেকেন্ডের জন্য আকাশে উড়েছে ভাহানা।
দুই বছর আগে এই প্রকল্পের ঘোষণা দেয় এয়ারবাস। প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাস কোনো একদিন রাস্তার গাড়ির তুলনায় চার গুণ বেগে চলবে এই উড়ুক্কু ট্যাক্সি। একবার চার্জে সর্বোচ্চ ৫০ মাইল পর্যন্ত চলতে পারবে এটি। এতে খরচ হবে গাড়ি বা ট্রেনে যাতায়াত করার মতোই।
২০১৭ সালের নভেম্বরে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের মধ্যে উডুক্কু গাড়ি প্রকল্পে পরীক্ষা শুরুর আশা করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এই প্রকল্পের জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থা বানাতে সহায়তার জন্য উবার-এর সঙ্গে চুক্তি করেছে সংস্থাটি।