এই বছরের শুরুর দিকে ম্যাকডোনাল্ডস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রেস্টুরেন্টগুলোর ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে ফিল্টার বসিয়েছে, যা এ সপ্তাহে প্রকাশ পেয়েছে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটির যুক্তরাজ্যের রেস্টুরেন্টগুলোতে ফিল্টারিং ব্যবস্থা চালু ছিল।
"ম্যাকডোনাল্ডস তার গ্রাহকদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা এমন পরিবেশ বজায় রাখতে চাচ্ছি, যাতে গ্রাহকরা স্বচ্ছন্দে তাদের পরিবারের সঙ্গে আমাদের রেস্টুরেন্টে সময় কাটাতে পারেন", এমনটাই বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় বার্গার চেইন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।
পর্ন বিরোধী মার্কিন সংস্থা 'এনাফ ইজ এনাফ' আর ন্যাশনাল সেন্টার অন সেক্সুয়াল এক্সপ্লোয়টেশন স্টারবাকসকেও ম্যাকডোনাল্ডস-কে অনুসরণ করতে আহ্বান জানিয়েছে। শুক্রবার সিএনএনের করা এক প্রশ্নের জবাবে স্টারবাকস জানায়, তারাও বিশ্বব্যাপী তাদের মালিকানাধীন স্টোরগুলোতে ফিল্টারিং ব্যবস্থা চালু করবে।
"পুরোপুরি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেলে আমরা দ্রুত আমাদের গ্রাহকদের জন্য বিনামূল্যে ব্যবহৃত ওয়াইফাইয়ে ফিল্টার চালু করব", স্টারবাকস-এর এক মুখপাত্র বলেন। "এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমাদের গ্রাহকদের অভিজ্ঞতায় কোনোরকম সমস্যা মনে হলে আমরা বিনামূল্যে দেওয়া ওয়াইফাই সেবা বন্ধের অধিকার রাখি", যোগ করেন তিনি।
পর্ন বিরোধী সংস্থা এই সিদ্ধান্ত স্বাগত জানিয়েছে। "এটি একটি বিশাল বিজয়," বলেন 'এনাফ ইজ এনাফ' সংস্থার প্রধান ডোনা রাইস হিউজেস। "আমরা স্টারবাকস এবং ম্যাকডোনাল্ডসকে নিয়ে গর্বিত। ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফি একটি জনস্বাস্থ্য সঙ্কট। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে এখন বাবা-মারা জানেন যে, কোন রেস্টুরেন্ট তার সন্তানদের জন্য অনলাইনের ক্ষতিকর জিনিস থেকে নিরাপদ", বলেন তিনি।
পর্ন বিরোধী সংস্থাগুলো জানায়, 'প্যানেরা' ব্রেড আর 'চিক-ফিল-এ' এর মতো অনেক ছোট রেস্টুরেন্টের ওয়াই ফাই নেটওয়ার্কে ইতোমধ্যে ফিল্টারিং চালু হয়েছে। আজকাল ফিল্টারিং ব্যবস্থা যথেষ্ট পরিশীলিত। ফলে ফিল্টারিং চালু হলেও মানুষ পর্নোগ্রাফিক সামগ্রী দেখতে না পারলেও এইচবিওর 'গেইম অফ থ্রোন্স'-এর মতো 'পরিণত' কিছু দেখতে পারবেন।
সিএনএন-এর ভাষ্যমতে, আজকাল পর্ন দেখার জন্য মোবাইল ব্যবহার খুব সহজসাধ্য হয়ে উঠেছে। রেস্টুরেন্টের ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের কল্যাণে এমন ক্ষতিকর পর্ন দূর্ঘটনাবশত বাচ্চাদের হাতের নাগালে আসতে পারে তা নিয়ে শংকিত বাবা-মায়েরা। এই অবস্থায় ম্যাকডোনাল্ডস আর স্টারবাকসের এই সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেই পারেন অভিভাবকরা।