সংবাদমাধ্যম ও সোশাল মিডিয়ার ‘কনটেন্ট লোডে দেরি’ করাচ্ছে এক্স

এক্স-এ কনটেন্টের লিংকে ক্লিক করার পর ওই পেইজ লোড হতে প্রায় পাঁচ সেকেন্ড সময় নিচ্ছে বলে নিজেদের চালানো পরীক্ষার ভিত্তিতে বলেছে ওয়াশিংটন পোস্ট।

| ছবি: রয়টার্স

ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও ব্লুস্কাইয়ের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্ম এবং রয়টার্স ও নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতো সংবাদ সাইটের জন্য নিজেদের বিভিন্ন কনটেন্টের লিংকে প্রবেশে ‘বিলম্ব ঘটাচ্ছে’ সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’।

এক্স-এর কোনো কনটেন্টের লিংকে ক্লিক করলে ওই ওয়েবপেইজ লোড হতে প্রায় পাঁচ সেকেন্ড সময় নিচ্ছে বলে নিজেদের চালানো পরীক্ষার ভিত্তিতে মঙ্গলবার বলেছে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট। একই ধরনের ‘সময়ক্ষেপণ’ দেখেছে সংবাদ সাইট রয়টার্সও।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ অবশ্য এর সমাধান করেছে ইলন মাস্ক মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যমটি। এই বিষয়ে রয়টার্স সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিটির সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিলম্ব সংশ্লিষ্ট ত্রুটি সরিয়ে ফেলার কথা নিশ্চিত করেছে এক সময় টুইটার নামে পরিচিত সেবাটি। তবে, এর কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি তারা।

অক্টোবরে সামাজিক মাধ্যম টুইটার অধিগ্রহণ করা মাস্ককে অবশ্য এর আগে তার বিপক্ষে প্রতিবেদন লেখা বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও সাংবাদিকদের সমালোচনা করতে দেখা গেছে।

এক পর্যায়ে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী সামাজিক মাধ্যমের লিংক পোস্ট করার সুবিধাও বন্ধ করেছিল টুইটার।

লিংক খোলায় সাম্প্রতিক এই দেরি ঠিক কবে থেকে এক্স-এ শুরু হয়েছে, সেটি বলতে পারেনি রয়টার্স।

মঙ্গলবারের শুরুতে ‘হ্যাকার নিউজ’ নামের প্রযুক্তি ফোরামে এক ব্যবহারকারী এই কালক্ষেপণ সম্পর্কে পোস্ট করেন ও লেখেন, ৪ অগাস্ট নিউ ইয়র্ক টাইমসে এই লিংক বিলম্বের ঘটনা শুরু করেছিল এক্স। আর একই দিনে মাস্ক প্রকাশনাটির দক্ষিণ আফ্রিকা অংশের একটি সংবাদ সম্প্রচার নিয়ে সমালোচনা করেন। এ ছাড়া, তারা ‘গণহত্যা সমর্থন’ করে, এমন অভিযোগও তোলেন তিনি। তবে, এই দুই ঘটনার মধ্যে সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ খুঁজে পায়নি রয়টার্স।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক মুখপাত্র বলেন, এই লিংক বিলম্ব নিয়ে তারা এক্স-এর কাছ থেকে কোনো ব্যাখ্যা পায়নি।

“আমরা এই বিলম্বের পেছনের যুক্তি না জানলেও যে কোনো সংবাদ সংস্থার ওপর কোনো কারণ ছাড়া এই ধরনের চাপ প্রয়োগ শঙ্কার বিষয়।” --মঙ্গলবার বলেন তিনি।

রয়টার্সের এক মুখপাত্র বলেন, “রয়টার্সের বিভিন্ন নিবন্ধে এক্স-এর লিংকে বিলম্ব নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে আমরা জানি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি আমরা।”

এই বিষয়ে রয়টার্স টুইটার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সামাজিক মাধ্যম ‘ব্লুস্কাইয়ের’ সিইও জ্যাক ডরসি’র মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। ফেইসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মালিক কোম্পানি মেটার সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।