এশিয়ান কাপ চলাকালে সন হিউং-মিনের সঙ্গে বিবাদে জড়ানোর পর অনেক কিছুই করেছেন অনুতপ্ত লি কাং-ইন। দক্ষিণ কোরিয়ার অধিনায়কসহ অন্য সদস্যদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। এবার দেশের রাজধানী সিউলে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন তরুণ এই ফুটবলার।
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের হোম ম্যাচ খেলতে এখন দেশে আছে দক্ষিণ কোরিয়া। সিউল ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হবে দুই দল। সেখানেই আগের দিন ওই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন পিএসজির মিডফিল্ডার লি।
“এশিয়ান কাপের সময় আমি সমর্থকদের কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছি। কিন্তু আমি আমার সমর্থকদের কিছু উপহার দিতে পারিনি, তাদের হতাশ করেছি।”
“সবার সমালোচনা আমাকে ভবিষ্যতে সাহায্য করবে। আমি আরও ভালো মানুষ ও ভালো ফুটবলার হওয়ার জন্য কঠোর চেষ্টা করব, যে দলকে সাহায্য করতে পারবে এবং ভালো উদাহরণ স্থাপন করতে পারবে।”
এর আগে এদিন সংবাদ সম্মেলনে সন বলেন, মঙ্গলবার টিম ডিনারে লি ‘আন্তরিকভাবে ক্ষমা’ চেয়েছেন এবং দল তা পুরোপুরি গ্রহণ করেছে।
“ক্ষমা চাইতে সাহস লাগে এবং কাং-ইন আন্তরিকভাবে এটি করার জন্য সবার সামনে দাঁড়িয়েছিল। আমি মনে করি এটি সবাইকে সত্যই একত্র করেছে। ড্রেসিং রুমের আবহ খুব একটা খারাপ নয়। আমার আঙুলের কথা মনে হয় আপনাদের আর লেখতে হবে না।”
গত ফেব্রুয়ারিতে এশিয়ান কাপের সেমি-ফাইনালে আঙুলে চোট নিয়ে খেলেন সন। কনিষ্ঠাসহ তার ডান হাতের দুই আঙুল একসঙ্গে ব্যান্ডেজ করা ছিল। জর্ডানের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে আসর থেকে বিদায় নেয় দক্ষিণ কোরিয়া। বাড়ে এশিয়ার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে শিরোপার জন্য তাদের ৬৪ বছরের অপেক্ষা। শেষ চার থেকে বিদায়ের পর ছাঁটাই হন কোচ ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান।
ম্যাচের পর কোরিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন একটি ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে জানায়, কয়েকজন তরুণ সতীর্থদের সঙ্গে আগেভাগেই রাতের খাবার শেষ করে টেবিল টেনিস খেলতে চেয়েছিলেন। ম্যাচের আগে রাতের ওই খাবারের সময়টাকে দলীয় সংহতি বাড়ানোর জন্য কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন সন। এ নিয়ে তার সঙ্গে তর্ক বেধে যায় লির।
এক পর্যায়ে ধাক্কা ধাক্কি শুরু হলে টটেনহ্যাম হটস্পার ফরোয়ার্ড সন হাতের আঙুলে চোট পান। খেলোয়াড়দের টেনে অন্য দিকে সরিয়ে নেওয়া হয়। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাথলেটের সঙ্গে অপ্রীতিকর এই ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন লি।
ওই ঘটনার পর লন্ডনে গিয়ে স্বশরীরে সনের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। সতীর্থকে ক্ষমা করে দিতে সন নিজে পরে দেশবাসিকে অনুরোধ করেন।